স্বাস্থ্য বিধি মেনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর এক স্মারকলিপি ও মানববন্ধনের মাধ্যমে তারা এ দাবি জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে তারা বলেন, দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এছাড়া সেশনজট দিনদিন ভয়াবহ হচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পরীক্ষা নেয়া শুরু করেছে। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্নাতকোত্তর ও স্নাতকের শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু করার দাবি জানাচ্ছি।
স্বশরীরে পরীক্ষা গ্রহনের দাবি জানিয়ে এক শিক্ষার্থী বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন যাবত আমরা একই বর্ষে আটকে আছি। এতে আমাদের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের দাবি কুবিতে দ্রুততর সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরীক্ষা শুরু করার।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শামীমুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে একটি স্বারকলিপি শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে উপাচার্য স্যারের কাছে দিয়েছে। আমার কাছে দাবিটি যৌক্তিক মনে হয়েছে। আমিও উপাচার্য স্যারের কাছে অনুরোধ করেছি যেন সশরীরে পরীক্ষা নেয়া হয়। যেহেতু বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আর করোনা সংক্রমণও নিম্নমুখী। উপাচার্য স্যারও নীতিগতভাবে সমর্থন দিয়েছেন। আমাদের অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার কার্যক্রম চলুক। যেন ভবিষ্যতের পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সহজ হয়।
ছাত্রলীগের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘আগামী ২৬ তারিখ একাডেমিক কাউন্সিল আছে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’