চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘বড় দলের’ হামলায় ‘ছোট দলের’ দুই সমর্থক নিহত

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ১০ জন।

শনিবার ভোরে উপজেলার শিদলাই গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের মৃত অদুদ মেম্বারের ছেলে খোরশেদ আলম (৫৫) ও শিরু মিয়ার ছেলে শুকুর মিয়া ওরফে সানু (৫০)।

জানা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়ার শিদলাই গ্রামে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ দুটি পক্ষ ‘বড় দল’ ও ‘ছোট দলে’ বিভক্ত রয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তারা প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

গত বছর এরকমই একটি সংঘর্ষে প্রাণ হারায় ‘বড় দলের’ লিডার মফিজুল ইসলাম। এরপর থেকেই ‘ছোট দলের’ লোকজন মামলার ভয়ে এলাকা ছাড়া ছিল।

কিন্তু শনিবার ভোরে হঠাৎ করেই তারা একত্রিত হয়ে ‘বড় দলের’ সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়। ‘বড় দলও’ পাল্টা আক্রমণ করে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাও। টেটা-বল্লম-রাম দাসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত একই গ্রামের একই পাড়ার দুটি গ্রুপের এ সংঘর্ষ চলে প্রায় দুই ঘণ্টা।

এর একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ‘ছোট দলের’ খোরশেদ আলম। তার দুই পায়ের উরু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত অসংখ্য টেটার আঘাতের ক্ষত দেখা গেছে। তার দুটি পায়ের রগও কেটে ফেলা হয়।

সংঘর্ষে গুরুতর আহত ছোট দলের শুকুর মিয়াকে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নেয়ার কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে জহির, কাউসার, আবুল হোসেন, রুহুল আমিন ও রিপনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর গুরুতর আহত দুই জনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি সৈয়দ আবু মোঃ শাহজাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দু’জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে শিদলাই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে উল্লেখ করে ওসি শাহজাহান বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।