কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মেডিকেল কলেজের ছাত্রীসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। পৃথক দুইটি দুর্ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক বাস যাত্রী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ-টামটা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের গভীর খাদে পরে ২ জন নিহত এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। একই দিন বিকেল পৌনে ৫ টায় মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় অপর একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের ডিভাইডারে সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এতে হেলাল মাজুমদার (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত আরও ৩০ যাত্রী।
ইলিয়টগঞ্জের টামটা এলাকায় নিহতরা হলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মিথিলাপুর গ্রামের সফিকুর রহমান এর স্ত্রী রোশন আরা বেগম (৬০)। অপরজন হলেন একই জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন মুরাদপুর এলাকার মৃত আব্দুল আল মামুন এর মেয়ে আনিকা তাহসিন (২২)। তিনি কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত বলে জানা যায়।
চান্দিনার গোবিন্দপুরে বাস উল্টে নিহত হেলাল মাহমুদ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার মতিনাবাদ গ্রামের নূরুল হক মজুমদারের ছেলে।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ইন্সপেক্টর) মনিরুল ইসলাম জানান: ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুমিল্লাগামী রয়েল কোচের একটি এসি বাস অতিরিক্ত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের গভীর খাদে পড়ে যায়। এসময় আমাদের হাইওয়ে পুলিশের একটি র্যাকার কাছে থাকায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসক দুই নারী যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মামুন জানান: আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসি এবং বাসের বেশিরভাগ যাত্রীকে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উপস্থিত জনতার সাহায্য নিয়ে হাসপাতেল পাঠাই। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জন যাত্রী মারা যান। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে।