কুমিল্লায় মন্দিরে কোরআন অবমাননার ঘটনায় জড়িত ইকবাল হোসেন সন্দেহে একজনকে আটক করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। তাকে আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক করার পর রাতে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, রাতে ইকবাল হোসেনকে সৈকত এলাকায় ঘোরাফেরা করার সময় জেলা পুলিশের একটি দল আটক করে। পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আজ ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি টিম কক্সবাজারে আসে। ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে আটক ইকবালকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। এর পরই কুমিল্লা জেলা পুলিশের ঐ টিম ইকবালকে নিয়ে কুমিল্লার পথে রওয়ানা দেয় কুমিল্লা জেলা পুলিশ আনুষ্ঠানিক ভাবে গণমাধ্যমে জানাবেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
গত ১৩ অক্টোবর ভোরে নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। এরপরই দেশের কয়েক স্থানে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের মন্দিরে হামলা চালানো হয়। এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হয়।
পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা–ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় দুই জন নিহত হন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
এরইমধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা ইকবালকে চিহ্নিত করে।