কুমিল্লায় নানুয়া দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির পায়ে কোরআন রাখার ঘটনায় জড়িত ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদিকে অভিযুক্ত ইকবাল ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন মা আমেনা বিবি।
পুলিশের ডিআইজি ওয়াই এম বেলালুর রহমান ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে এসে জানান, চিহ্নিত অপরাধীকে ধরার চেষ্টা চলছে। পূজামণ্ডপে সংশ্লিষ্টদের সাথে তারা আরো কথা বলবেন।
পুলিশ বলছে, পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা বিভিন্নস্থানে ভাঙচুর, সহিংসতা করেছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অপর দিকে চিহ্নিত ইকবাল হোসেনের মা আমেনা বিবি দাবি করেছেন, তার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। সেই সঙ্গে ইকবাল এ কাজ করে থাকলে তার মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
কুমিল্লা শহরের দারোগা বাড়ি মাজারের দিঘিতে মাছ চাষের কারণে এক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা মুভিং সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছিলেন। সে ক্যামেরাতেই ধরা পড়ে ইকবাল হোসেনের কোরআন নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। আর নানুয়াদিঘির পশ্চিমপাড়ে শৈলরানী স্কুলের পাশের নতুন ভবনে লাগানো ক্যামেরায় ধরা পড়ে ইকবাল হোসেনর হাতে হনুমানের গদা নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য।