টানা চার হারের পর আগের ম্যাচেই শক্তিশালী ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে প্রথম জয় পেয়েছিল খুলনা টাইটানস। সেই জয়ের ধারা বজায় রাখতে শুক্রবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে খেলছে তারা। সিলেটে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৮১ রান করেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ছন্দপতন। ইনিংসের চতুর্থ বলেই আউট হন জহুরুল ইসলাম। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে জিয়াউর রহমানের হাতে ধরা পড়ার আগে দলীয় খাতা খুললেও নিজের হিসাবের খাতা খুলতে পারেননি জহুরুর।
উইকেট হারিয়ে যেন তেতে উঠে খুলনা। পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন জুনায়েদ সিদ্দিক ও আল-আমিন। মারকাটারি ব্যাট চালিয়ে প্রথম ৬ ওভারে দুজনের তুলে ফেলেন ৬৫ রান। দলের একের পর এক বোলার যখন দুই ব্যাটসম্যানের কাছে কচুকাটা হচ্ছিল তখন কুমিল্লার ত্রাতা শহিদ আফ্রিদি।
পাকিস্তানি স্পিনারের বলে বোল্ড হন আল-আমিন। ৭১ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ১৯ বলে আল-আমিন করেন ৩২ রান। তার ইনিংসে চার বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল একটি বিশাল ওভার বাউন্ডারি।
আল-আমিন ফেরার পর আক্রমণ ধরে রাখে খুলনা। নিজের মোকাবেলা করা আফ্রিদির প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু আক্রমণটা বেশিক্ষণ স্থায়ী করতে পারেননি খুলনা অধিনায়ক। ৯ বলে ১৬ রান করে সরাসরি বোল্ড হয়ে আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকার হন।
অন্যদের যাওয়া-আসার মধ্যে একপ্রান্তে নিজের মতো করেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন জুনায়েদ। বাহারি সব শট খেলে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরিও। ব্যাটে-বলে দারুণ সংযোগ হওয়া জুনায়েদকে আউট করতে পারেননি কুমিল্লার কোনও বোলার। ৭০ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ফেরেন রানআউটের খাড়ায় কাটা পড়েন। ৪১ বল খেলে সমান চারটি করে চার-ছক্কা মারেন জুনায়েদ।
এক ধীরগতিতে হলেও ভালো ব্যাট করছিলেন ডেভিড মালান। কিন্তু তাকেও বেশি সময় ক্রিজে থাকতে দেননি আফ্রিদি। ২৫ বলে ২৯ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ আফ্রিদির তৃতীয় শিকার মালান। ভালো করতে পারেননি ক্রেগ ব্র্যাথওয়েট। ১২ করে ওয়াহাব রিয়াজের বলে আউট হন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারি ওভারে ৭ উইকেটে ১৮১ রানের থামে খুলনার ইনিংস।
কুমিল্লা হয়ে আফ্রিদি তিনটি ছাড়া দুটি উইকেট নেন তার স্বদেশি ওয়াহাব রিয়াজ। সাউফউদ্দিন নেন একটি উইকেট।