থাইল্যান্ডের হাইরকের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম ওয়াঙ্গহিন এখন সবার কাছে অনেক কৌতূহলের জায়গায় পরিণত হয়ে গেছে। গ্রামবাসীসহ আশের পাশের অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে এমন উত্তেজনা যেনো কোনো লাইভ সিনেমা চলছে ওই গ্রামটিতে। বাস্তবে এতো কৌতূহল ও গুঞ্জনের কারণ কোনো সিনেমা নয় বরং অদ্ভুত এক প্রাণি যার মাথা কুমিরের ও শরীর মহিষের মতো দেখতে।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, গ্রামটিতে আবিষ্কার হওয়া উদ্ভট ওই প্রাণিটির মধ্যে মহিষ ও কুমিরের জেনিটিক মিউটিশন হয়েছে। অদ্ভূত ওই প্রাণিটি সরীসৃপ প্রাণির মতো আঁশযুক্ত শরীর ও বাছুরের মতো খুর নিয়ে জন্ম নেয়ার কিছুক্ষণপর মারা যায়।
শরীরের চামড়া ও মাথা কুমির অর্থাৎ সরীসৃপ প্রাণির মতো হলেও অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলো হয়েছে স্তন্যপায়ী প্রাণির মতো। এমনকি বাছুরের মতো ছোট একটি লেজও আছে প্রাণিটির।
যদিও এরকম ক্রস জেনেটিক প্রাণি আগেও পাওয়া গেছে। কিন্তু আগের মিউটিশন হয়ে জন্ম নেয়া প্রাণিগুলোর মধ্যে এই প্রাণিটি দেখতে সবথেকে উদ্ভট ও অস্বাভাবিক। গ্রামবাসীর ধারণা বিস্ময়কর এই প্রাণিটি গ্রামটি ও যে পরিবারটি আবিষ্কার করেছে তাদের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে এসেছে।
প্রাণিরাজ্যে এর আগেও দুটি ভিন্ন প্রাণি অর্থ্যাৎ ক্রস জেনেটিক মিউটিশন হয়ে জন্মেছিলো একটি ‘জানকি’। জানকি ছিলো জেব্রা ও বানরের মধ্যে মিউটিশন হওয়া একটি প্রাণি।
তবে এই ধরণের উদ্ভট প্রাণিগুলোর বেশিরভাগই স্বাভাবিকভাবে জন্মায় না। মানুষের বিভিন্ন পরীক্ষামূলক কার্যকলাপের কারণে প্রাণি জগতে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন অস্বাভাবিকতা। ফলে প্রাণি অধিকার সংরক্ষণ সংস্থাগুলোর মধ্যে অনেক বিতর্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।