রংপুরে জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো মোটিভ উদ্ঘাটন করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা।
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক রাশেদুন্নবী খান বিপ্লবকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে রাজশাহী থেকে আটক হওয়া ব্র্যাক ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনিদের সনাক্ত করতে রাত-দিন চলছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ঘাটনের অগ্রগতি নিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দফায় দফায় হচ্ছে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। তবে এ বিষয়ে এখনোও স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না তদন্ত কমিটি।
১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া বিএনপি নেতা হাবীব-উন-নবী খান সোহেলের ছোট ভাই রাশেদুন্নবী খান বিপ্লবকে রিমান্ডের ৫ দিনের মাথায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
রাজশাহী এবং পাবনা থেকে আটক হওয়া ব্র্যাক ব্যাংকের ২ কর্মকর্তা নাহিদ ও শাহরিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হলেও কুনিও’র ব্যবসায়িক সহযোগী হুমায়ন কবির হীরার স্ত্রী’র খালাতো ভাই অটেরিক্সা চালক সুইটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খোঁজা হচ্ছে হুমায়ন কবির হীরার শ্যালক বুলবুলকে।
কুনিও হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে যেমন উদ্বিগ্ন রংপুরের সাধারণ মানুষ তেমনি দ্রুত মোটিভ উদ্ঘাটনের তাগিদ সিটি মেয়রের।
৫ সদস্যের জাপানি দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল এখনো রংপুরে অবস্থান করছেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে থাকা কুনিও’র মৃতদেহ দাফন নিয়ে এখনো বিরাজ করছে ধোঁয়াশা পরিস্থিতি।