আগে ব্যাট করা ভারত ১০০ রান তুলতে খরচ করল ৮০ বল। পরে ব্যাট করা বাংলাদেশ স্কোরটা তিন অঙ্কে নিয়ে গেল মাত্র ৭১ বলে। ভারতের মতোই দুই উইকেট হারিয়ে। এমন ম্যাচও কিনা বাংলাদেশ হারল ৩০ রানে! ম্যাচটা যে ভারতকে একরকম ‘উপহার’ই দিয়ে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা, সেটি না বললেও পরিসংখ্যান এমন সাক্ষ্যই দিচ্ছে!
১২ ওভার পর্যন্ত রান তোলায় এগিয়ে থাকা নয়, ১৫ ওভার পর্যন্ত ম্যাচেই ছিল বাংলাদেশ। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ৩০ বলে ৪৯ রান কঠিন ছিল না। কিন্তু ৮১ করে তরুণ ওপেনার নাঈম শেখ সাজঘরে ফিরতেই বাকিদেরও ফেরার হিড়িক। দীপক চাহারের হ্যাটট্রিক আরও ছোট করে দিল ম্যাচের পরিধি।
চাহার-ঝড়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১৪৪ রানে। বল অব্যবহৃত থেকে গেছে ৪টি। হারের ব্যবধান লেখা হয়েছে ৩০ রানের। অথচ নাগপুরে ম্যাচটা জিতে কিনা ট্রফি হাতে সিরিজ জয়ের উদযাপনে মাততে পারত টিম টাইগার্স।
১৭৫ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুতে দুই উইকেট হারালেও নাঈম শেখ ও মোহাম্মদ মিঠুন জুটিতে ৯৮ রান করে যে আশা জ্বালিয়েছিলেন তা নিভে যায় হঠাৎ, চাহার ঝড়ে। শেষ ৩৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে।
মিঠুনের পর ক্রিজে এসেই বোল্ড মুশফিক। কিছুক্ষণ পর ফেরেন নাঈম। আফিফ পরের বলেই। মাহমুদউল্লাহও সময় নেননি। তাতেই বাংলাদেশের ভাগ্যে লেখা হল আরেকটি হার। যে হারে সিরিজ জয়ের স্বপ্নটা ঝরে গেল।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বেশ কয়েকবার বললেন, ‘আমরা ভালোভাবেই ম্যাচে ছিলাম। ১৫ ওভারের পর দ্রুত তিনটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় আমরা হেরে গেছি।’
ভারতের ইনিংসে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের দুটি ক্যাচ মিস, এক ওভারে আফিফ হোসেনের টানা তিন ছক্কা হজম, লিটন-সৌম্যর ব্যর্থতা সবই ভুলিয়ে দিচ্ছিলেন নাঈম। এ বাঁহাতি অসাধারণ খেললেও একার লড়াই যে সবসময় দলীয় খেলায় সাফল্য নিয়ে আসতে পারে না এই আপ্তবাক্যটিই মনে করিয়ে দিল আরেকবার।