‘ফেলুদা’ আর নেই। টানা ৪০ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চির বিদায় নিলেন পশ্চিম বাংলার কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সিনেমার অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই অভিনেতা । রবিবার ভারতীয় সময় ১২টা ১৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যুর ঘোষণা দেয়া হয়।
প্রবীণ এই অভিনেতার প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগতে। সেই সাথে ভেঙে পড়েছেন ‘ফেলুদা’র অনুরাগীরাও।
কিংবদন্তী এই অভিনেতার প্রয়াণের দিন সকালেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। সেখানে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পশ্চিম বাংলার একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, “বাংলা সিনেমা জগতের অপূরণীয় ক্ষতি চলে গেলেন। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি। বাংলার প্রত্যেক ঘরে ও বাঙালির হৃদয়ে আপনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন।”
অপরদিকে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় খুব বেশি কিছু না বলে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ছোট্ট মনখারাপ করা বার্তা দিয়েছেন, “ভালো থেকো।” ঠিক একই বার্তা দিয়েছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও।
অপর্ণা সেন বলেছেন, “ওনার মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। উনি আমার পারিবারিক বন্ধু, আমি অভিভাবককে হারালাম। একই সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। এত সুন্দর ব্যবহার, যত বড় হলাম বন্ধু হয়ে উঠলাম। উনি প্রায়ই আমাকে মজার ছলে বলতেন তুমি তো বড় ডিরেক্টর, আমাকে তোমার ছবিতে নাও না।”
আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এই বছরটা একে একে সব কেড়ে নিচ্ছে। অভিভাবক, কিংবদন্তি, ছোটবেলা, নস্টালজিয়া, সব, সব কিছু। কী নিষ্ঠুর বছরটা।”
অভিনেতা তথা সাংসদ দেব লিখেছেন, “তুমি যেখানেই থেকো ভালো থেকো, তোমাকে খুব মিস করবো ছানা দাদু।”
অন্যদিকে পরমব্রত লিখেছেন, “একেবারে ব্যক্তিগত এই আঘাত, এই ক্ষতি নিয়ে বাড়তি কোনও কথা বলার মতো জায়গায় নেই।”