একটি ভূমিকম্প, হাজারো উৎকন্ঠা, লাখো মানুষের জীবন সংশয়। ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতি দুর্যোগ মানব জাতির জন্য কত বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে তা আরেকবার দৃশ্যমান হল আজ সকাল থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত নেপাল সর্বমোট ১৪ বার অনুভূত হওয়া ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে।
ভূমিকম্পে সেকেন্ডের ব্যাবধানে ধ্বংসলীলায় পরিণত করে চারপাশের পরিবেশকে। নেপালে উৎপত্তি হওয়া ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্প যে কতটা বিধ্বংসী ছিল তা উঠে এলো কাঠমান্ডুরই একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায়।
কাঠমান্ডুর বাসিন্দা শিবা দাহাল তার ব্লগে তুলে ধরেন ভূমিকম্পের সময় সৃষ্ট আতংকিত পরিবেশ ও ভূমিকম্প পরবর্তী ধ্বংসলীলার কথা।
ব্লগে তিনি এ ভাবে লেখেন………
আমি এখন কাঠমান্ডুর একটা ফাঁকা স্থানে অবস্থান করছি। এখানে আমার মত আরও অনেকে দাঁড়িয়ে আছেন। চারপাশে কি ঘটছে জানি না। শুধু অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ শুনতে পাচ্ছি।
ভূমিকম্পের সময় আমি ত্রিপুরাসোয়ার নিজের অফিসে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ আমরা ভূমিকম্প অনুভব করি। আমরা আগে থেকেই জানতাম ভূমিকম্পের সময় কি করতে হয়। তাই আমরা দৌঁড়ে বাইরে বের হেই।
বাইরে এসে দেখি একটা উচুঁ দেওয়াল ধসে কিছু মানুষ আটকা পড়েছে। আমরা সবাই ধ্বংস স্তুপ সরিয়ে তাদের উদ্ধার করি। আমাদের সৌভাগ্য, হাসপাতাল আমাদের আফিসের কাছেই ছিল। আহতদের উদ্ধার করে আমরা তাদেরকে হাসপাতালে পৌঁছে দেই।
তবে এটিই ভূমিকম্পের প্রকৃত চিত্র নয়। বাস্তবতা আরও নির্মম। আমি তার অল্পটাই জানি। কিন্তু বন্ধুদের ফেসবুক পোস্ট ও টুইটারে দেখছি আসলে কতটা ভয়াবহতা ঘটে গেছে।