বিতর্ক যতোই থাকুক, মেসিকে ছাড়া আর্জেন্টিনার অবস্থা যে কতোটা ছন্নছাড়া; তার প্রমাণ ইতিমধ্যে ইকুয়েডরের কাছে হেরে এবং প্যারাগুয়ের সঙ্গে ড্র করে দিয়েছে দলটি।
অন্যদিকে এই ক্ষুদে জাদুকরের স্পর্শ ছাড়া কোনো কিছুতেই যেনো পূর্ণতা পায় না টিম-বার্সেলোনা। সেই মেসিকেই কি না প্রিয় দুই দলের হতশ্রী অবস্থা দেখতে হচ্ছে ড্রয়িং রুমের আরাম কেদারায় বসে টিভি মনিটরে। কারণ আর কিছু নয়, ইনজুরি।
এই মুহূর্তে মেসিকে যে খুব বেশি প্রয়োজন, তা আরেক বার মনে করিয়ে দিয়েছেন আলবিসেলেস্তে কোচ জেরার্দো মার্টিনো। ব্রাজিলের বিপক্ষে আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে লিওকে মাঠে চাইছেন সাবেক এ কাতালায়ন কোচ। মার্টিনোর এ স্বাদে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ক্লাব বার্সেলোনা।
অবশ্য এসব মাথায় রাখতে নারাজ এ আর্জেন্টাইন। জয়ের ধারার চারণ কাঠি যে তার চাইই চাই।
বার্সেলোনার যুক্তি এ ম্যাচের কয়েক দিন পরেই রয়েছে রিয়াল-বার্সা এল ক্লাসিকো। তাই ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না তারাও।
আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে গিয়ে কয়েক দিন আগেই চোট পেয়েছেন দলে আরেক তারকা সার্জিও আগুয়েরো। তাই ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না ম্যারাডোনার এ সাবেক জামাইয়ের। একেই যুক্তি হিসেবে সামনে এনেছে ক্লাব বার্সেলোনা।
এমনিতেই মেসির পায়ের লিগামেন্টে চোট রয়েছে, যদি আবারো ইনজুরিতে পড়েন, তাহলে দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে কাতালান এ ফুটবল সেনসেশনের। তাই ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না তারা।
কনমেবল অঞ্চলের ১৮ রাউন্ডের মধ্যে আর্জেন্টিনা মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলা। এর মধ্যে একটিতে হার, অন্যটিতে ড্র। তাই এখনও সময় আসেনি ২০১০ সালে পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে এবারও।
ওই সময় বাছাই পর্বে প্রায় বাদ পড়ার উপক্রম হয়েছিলো আর্জেন্টিনার। শেষ পর্যন্ত দিয়েগো ম্যারাডোনা দলে হাল ধরে দলকে দক্ষিণ আফিকা বিশ্বকাপে পৌঁছে দেন।
তবে এটা লিওর জন্য মোটেও নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে তাকে। বারবার তাকেই কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকতে হয়েছে।
এর মধ্যে আবার দোল লেগেছে বার্সা বস লুইস এনরিকের চেয়ারে। ফুটবল পাড়ায় চাউর হয়েছে স্পেনিশ বস দেল বস্ক স্পেনের দায়িত্ব ছেড়ে বার্সেলোনার দায়িত্ব নিতে পারেন।
তবে এনরিক নিজেও বলে রেখেছেন, স্পেনের কোচের দায়িত্ব নিতে পারলে গর্বিত হবেন তিনি।