মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানিতে আসামীপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে।
কিছুক্ষণের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আরো কিছু বক্তব্য উপস্থাপনের পর রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করতে পারেন আপিল বিভাগ।
এর আগে আলী আহসান মুহাম্মদের মামলায় আপিল বিভাগ রায়ের দিন-তারিখ জানিয়ে দেওয়ায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলাতেও তাই করা হবে বলে আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন: বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
শেষ দিনের শুনানিতে সাকা চৌধুরীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী এডভোকেট এএসএম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ১ জুলাই এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার আহবান জানান।
মানবতাবিরোধী চারটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
গত ১৬ জুন শুনানি শুরু হলে ৮ কার্যদিবসে ট্রাইব্যুনালের রায়, সাক্ষীদের সাক্ষ্য-জেরা এবং রায় সংক্রান্ত নথিপত্র (পেপারবুক) উপস্থাপন করে আসামিপক্ষ।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল-১ এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আদালত সাকা চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেন।
ওই রায়ে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনীত ২৩ অভিযোগের মধ্যে ৯টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয় প্রসিকিউশন। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬ ও ৮ নং অভিযোগের প্রতিটিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড ২, ৪ ও ৭ নং অভিযোগের প্রতিটিতে ২০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ১৭ ও ১৮ নং অভিযোগে তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
সাকা চৌধুরীকে ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে হরতালে গাড়ি পোড়ানো ও ভাংচুরের এক মামলায় গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতারের পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।