শনিবার চলে গেলেন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের প্রতীক ফিদেল কাস্ত্রো। তার মৃত্যুতে কেউ শোক প্রকাশ করেছেন। কেউ বা বলেছেন, কাস্ত্রোর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কিউবা প্রকৃত স্বাধীনতার মুখ দেখবে।
কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর চলে যাওয়ায় মর্মাহত বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন। কাস্ত্রো ও তার কিউবাকে দেখার স্বপ্নভঙ্গের শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। স্ট্যাটাসে তসলিমা লিখেছেন:
“স্বপ্ন ছিল ক্যাস্ট্রোর কিউবা দেখতে যাবো। তা না হলেও ক্যাস্ট্রো বেঁচে থাকতে যাবো। স্বপ্ন পূরণ হলো না। মানুষটি চলে গেলেন। কমান্দান্তে চলে গেলেন। গ্রেট লিডার চলে গেলেন। রেখে গেলেন একটি দেশ, যে দেশে আছে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষিত’র হার ৯৯.৮%,গড় আয়ু ৭৯.১, যে দেশে কাস্ত্রোর নামে কোনও রাস্তা নেই, কোনো মূর্তি নেই।”
কাস্ত্রোর কিউবা এবং যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতার কথা তুলে ধরে দেশ দু’টির তুলনা করে তসলিমা লিখেছেন: “কাস্ত্রোর ছোট্ট একটি দ্বীপ কিউবা বিশ্বের সবচেয়ে পাওয়ারফুল দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং টিকে থেকেছে। কতবার কাস্ত্রোকে খুন করতে চেয়েছে আমেরিকা, পারেনি।
আমেরিকার অনেক কিছু শেখার আছে কিউবা থেকে। সবার জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার ব্যবস্থা কবে করবে আমেরিকা? কিউবা যা পেয়েছে আমেরিকা কি পারবে কখনো? এক কাস্ত্রো যা পেরেছেন, গত পাঁচ দশকে আমেরিকার ন’জন প্রেসিডেন্টও তা পারেননি।”