সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক তাপ-বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিবেশ ঝুঁকি বিবেচনা করে প্রতিবাদ করছেন প্রতিবাদকারীরা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষতি এড়িয়ে সুন্দরবনে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প করা সম্ভব। এখন নতুন দাবি উঠেছে, রামপাল চুক্তির খুঁটিনাটি জনগণকে জানাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন এ নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ব্যাঙ্গাত্মক ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন:
‘এতক্ষণে অরিন্দম কহিল বিষাদে …
অবশেষে কিউট বাম বিপ্লবী ভাইদের মুখোশ উন্মোচিত হয় শুরু করেছে।
যুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক রিসার্চ এর তোপে টিকতে না পেরে এখন তাদের দাবি দাওয়ার বাতাস ঘুরিয়ে দিয়েছেন। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে – তাদের এই যুক্তি এখন অনেকটাই অকেজো।
এখন বলছেন,
ভারতের সঙ্গে কি চুক্তি হয়েছে তা জাতির সম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। এইখানেও তাদের মূর্খতা কিংবা বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা।
ফেক্ট হলো, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো চুক্তিই হয়নি। চুক্তি হয়েছে কোম্পানি টু কোম্পানি চুক্তি। আর দুই দেশের কোম্পানি টু কোম্পানি যখন চুক্তি হয় তখন দুই কোম্পানিই যেকোনো দিকে হোক ওইন ওইন সিচুয়েশনে থাকার চেষ্টা করে। এটা দুই দেশের মধ্যে কোনো বিনিময় চুক্তি না যে, কে বেশি লাভবান সেই প্রশ্ন আসবে।
ভাইরে,
আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ভারতকে জড়িয়ে প্রোপাগান্ডা করবেন, করেন। এতে কোনো সমস্যা নাই। স্বাধীনতার আগে থেকে এই প্রোপাগান্ডা শুরু হয়েছে। আমরা এই প্রোপাগান্ডাকে ভয় পাই না। এইসব প্রোপাগান্ডা উৎরিয়েই আওয়ামীলীগের আজকের উন্নয়নের বাংলাদেশ, আজকের লৌহমানবী শেখ হাসিনা।
ভুলে যান কেন, ভারতের মতো পরাক্রমশালী দেশের সাথে ফাইট করেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্রসীমা জয় করে দেশের আয়তন বাড়িয়েছেন। দীর্ঘ ৬৬ বছরের বিদ্যমান সীমানা সমস্যার সমাধান করে বাংলাদশকে লাভবান করেছেন।
শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখুন, তাইলে ভবিষ্যতে উন্নয়নের আরো অনেক ইস্যুতে আপনারা আন্দোলন করার সুযোগ পাবেন । জাতিকে কিছু না দিয়েই শুধু আন্দোলনের ইস্যু তৈরী করে জাতির কাছে বেঁচে থাকবেন।
পাদটীকা: কিউট বিপ্লবী ভাইয়েরা, এখন আপনারা একটা কাজ করেন, নতুন করে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা শিখতে পারেন। ছোট সময় আপনারা যে মানচিত্র আঁকা শিখেছেন ওই দেশটি বঙ্গবন্ধুর দেয়া ছিল। আর নতুন বৃহৎ আয়তনের যে মানচিত্র এখন আঁকা শিখবেন, ঐটা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেয়া।’