বিশ্বে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের প্রতীক কিউবার সাবেক নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে নিপীড়িত মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্ট পার্টি এবং সাবেক কমিউনিস্ট দেশগুলোতে তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলেও অনেকে তাকে নিষ্ঠুর একনায়ক বলেও আখ্যা দিয়েছেন। তার মৃত্যুতে বিশ্ব নেতাদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মনে ফিদেল কাস্ত্রো সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব এবং মুক্তির প্রতীক। তার অনুকরণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিংশ শতাব্দীতে অসংখ্য বিপ্লব ও সমাজতান্ত্রিক অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা হয়েছে।
কাস্ত্রো ১৯৫৯ সালে সফল বিপ্লবের মাধ্যমে কিউবার ক্ষমতা দখল করেন। শারীরিক সমস্যার কারণে ২০০৬ সালে ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে অবসরে গেলেও তিনিই ছিলেন সবকিছুর অঘোষিত নেতা।
তবে বিরুদ্ধ মত এবং নিজ জনগণের একটি অংশের ওপর নিষ্ঠুরতার জন্য তিনি স্বৈরাচার এবং লৌহ মানব বলেও পরিচিত ছিলেন। তাই তার মৃত্যু একই দিনে অনেকের কাছে শোক ও উল্লাসের।
ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মৃত্যুকে ‘নিষ্ঠুর স্বৈরাচার’-এর অবসান এবং গণতন্ত্র ও মুক্তির সূচনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
ভিয়েতনামের কম্যুনিস্ট পার্টি কাস্ত্রোর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে। শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওলাঁদ।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন কিউবার জনগণের প্রতি। শোক জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস, চিলির প্রধানমন্ত্রী, লাতিন আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা।
কাস্ত্রোর মৃত্যুতে শোকাভিভূত আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা দিয়েগো ম্যারাডোনা।
তবে বিপ্লবী এ নেতার মৃত্যুর পর আনন্দ-উল্লাস করেছে কিউবা থেকে নির্বাসিত লিটল হাভানা খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে বসবাস করা জনগণ। যদিও সিএনএনের সরাসরি সম্প্রচারে তারা বলেছে, কাস্ত্রোর মৃত্যুতে তারা উৎসব করছে না। তাদের উল্লাস কিউবার জন্য ‘স্বাধীনতার নতুন পথ’ খুলে যাওয়ায়।