কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তান ও ভারতের গোলাগুলিতে ৬ ভারতীয় সেনাসহ নিহত হয়েছে অন্তত ১২ জন। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানী সেনাদের গুলিতে ৬ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। সীমান্তের পাশের গ্রামে ভারতীয় সেনাদের গুলিতে পাকিস্তানি ৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। গোলাগুলিতে আহত হয়েছে আরো কমপক্ষে ১৮জন।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ-আইএসপিআরের দেয়া বিবৃতির বরাতে দেশটির ইংরেজি ডনের এক প্রতিবেদনে ৬ ভারতীয় সেনা ও ৪ পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিক নিহতের কথা বলা হয়েছে। নিহত চার পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিকের মধ্যে এক নারী ও দুই শিশু রয়েছে। আহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার সকাল থেকেই পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর সীমান্তের নকিয়াল ও সামাহ্নি সেক্টরে প্রচন্ড গোলাগুলি হয়। পাকিস্তান আইএসপিআর জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনাদের পাল্টা জবাবে ৬ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত।
এদিকে ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মির সীমান্তে সেনার সাথে গোলাগুলিতে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের সময় উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপুরায় এই নিহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সেখানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
খবরে বলা হয়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনিখান গ্রামে যৌথ অভিযান চালান ১৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপের সদস্যরা। এক সেনা কর্মকর্তার জানিয়েছেন, ওই এলাকায় পাকিস্তানি জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর ছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনী আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জঙ্গিদের আস্তানা ঘিরে ফেলতেই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। পাল্টা গুলি লড়াইয়ে নিহত হয় দুই জঙ্গি। তবে সেনার তরফে কোনও হতাহতের খবর নেই।
গতকাল সেমাবারও কাশ্মির সীমান্তে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হামলায় ভারতীয় এক সেনাসদস্য নিহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয় আরও ৪ জন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে অংশে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইট অভিযান পরিচালিত হয়। এর পর থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর ২৯০টি গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় এখনও পর্যন্ত (আজকের ৬ জন বাদে) ১৪ জন ভারতীয় সেনাসহ মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যপক্ষে পাকিস্তানের ৭ সেনাসহ নিহত হয়েছে ১৫ জনের বেশি।