লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় দুই পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে লন্ডন মেট্রোপলিটান পুলিশ।
কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বুধবার এ হামলা চালানো হয়।
ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেয়া এক ভাষণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রব বলেন: ‘লন্ডনে ঘটা ওই হামলা ‘দুঃখজনক ঘটনা’। এটা সত্যি যে যেকোন ধরণের হামলা দুঃখজনক। যে কোনো জায়গার জন্য, যেকোনো কমিউনিটির জন্যই হোক না কেন, এ দেশে এমন হামলা মোটেও কাম্য নয়। এখন আমাদের যা করা দরকার তাই করার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে ইতিবাচকভাবে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংলাপের পথ তৈরি করা প্রয়োজন।’
ব্রিটেনের রাজধানীতে লন্ডনে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেয় প্রায় ১০,০০০ পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ। তারা ভারতীয় হাইকমিশনেও হামলা চালিয়ে জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলে বলে হাইকমিশনের টুইট বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কাশ্মীর নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিলেন তারা।
দেশটির গণমাধ্যম থেকে জানা জানা যায়, একদল ব্রিটিশ কাশ্মীরিদের আয়োজিত ‘কাশ্মীর ফ্রিডম মার্চ’ পার্লামেন্ট স্কোয়ার থেকে ডাউনিং স্ট্রিট হয়ে হাইকমিশনের বিল্ডিং-এর দিকে যায়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ব্রিটিশ লেবার পার্টির কয়েকজন এমপি। বিক্ষোভকারীদের মুখে ছিল ‘কাশ্মীরে গোলাগুলি বন্ধ হোক’, ‘কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের ব্যবস্থা নেয়ার সময় এসেছে’, ইত্যাদি স্লোগান।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে হামলা চালানোর সময় তাদের কাছে কাশ্মীরের পাকিস্তান অংশের পতাকা দেখা গেছে। তারা ‘স্বাধীনতা’র দাবিতে স্লোগানও দেন। এর আগে ১৫ আগস্টও ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে এ ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এদিকে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান।
তিনি একট টুইট বার্তায় লেখেন, আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে লন্ডনে দেশটির হাইকমিশনের সামনে জড়ো হয়েছিল বিক্ষোভকারীরা।