২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটে অপ্রদর্শিত বা কালো টাকা অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে শিল্প স্থাপনে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় এবং দালান নির্মাণে কালো টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে করহার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়েছে, অঘোষিত অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিলে ওই অর্থের উৎস সম্পর্কে আয়কর বিভাগ থেকে কোনও প্রশ্ন তোলা হবে না।
কালো টাকার বিনিয়োগ বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে পণ্য বা সেবা উৎপাদনজনিত উদ্ভূত আয়কে ১০ বছরের জন্য বিভিন্ন হারে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে শিল্প স্থাপনে অপ্রদর্শিত আয় থেকে বিনিয়োগ করা অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিলে তার উৎস সম্পর্কে আয়কর বিভাগ থেকে কোনও প্রশ্ন করা হবে না। এ-সংক্রান্ত একটি বিধান আয়কর অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, বিদ্যমান আইনে নির্দিষ্ট হারে কর দিলে ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় এবং দালান নির্মাণে বিনিয়োগ করা অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন করা হয় না। তবে এই হার বেশি হওয়ায় করদাতারা খুব একটা সাড়া দিচ্ছেন না। ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় ও দালান নির্মাণে বিনিয়োগ স্বপ্রণোদিতভাবে আয়কর নথিতে প্রদর্শনে করদাতাদের আরও আগ্রহী করার জন্য এ-সংক্রান্ত বিদ্যমান করহার হ্রাস করার প্রস্তাব করা হচ্ছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার পর জাতীয় সংসদে উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেট উপস্থাপন শেষ করেন।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ‘স্মার্ট’ বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। নতুন অর্থবছরে বাজেটের প্রস্তাবিত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।