চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

কালো কোট-গাউনে ফিরলেন বিচারক-আইনজীবীরা

শীত-গ্রীষ্মে আলাদা পোশাকের প্রস্তাব

আদালতের নির্ধারিত পোশাক কালো কোট ও গাউন পরা আবার শুরু করলেন বিচারক ও আইনজীবীরা।

তবে শীত ও গ্রীষ্মে আলাদা (ড্রেসের) পোশাকের প্রস্তাব দিলেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

দেশে করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের ১২ আগস্ট থেকে কালো কোট ও গাউন ছাড়াই মামলার শুনানিতে অংশ নেয়ার সুযোগ পান বিচারক ও আইনজীবীরা। পরে শীত এলে গত বছরের নভেম্বর মাসে ফের কালো কোট পরা চালু হয়। কিন্তু পরবর্তীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে চলতি বছরের মার্চ থেকে আবার কালো কোট পরার বাধ্যবাধ্যকতা প্রত্যাহার করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ থেকে আবার কালো কোট গাউনে ফিরলেন বিচারক ও আইনজীবীরা।

রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘মাই লর্ড আজ থেকে তো কালো কোট গাউন পরা শুরু হলো। এটা কি শুধু ফিজিক্যাল কোর্টের জন্য নাকি ভার্চুয়াল-ফিজিক্যাল উভয় কোর্টের জন্য? তখন প্রধান বিচারপতি বলেন শুধু ফিজিক্যাল হবে কেন? উভয় কোর্টের জন্যই।’

এরপর ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘আরেকটা বিষয় হচ্ছে আমাদের আবহাওয়া ও সব কিছু মিলিয়ে আইনজীবীদের জন্য গ্রীষ্মকালিন এবং একটি শীতকালিন পৃথক ড্রেস নির্ধারণ করার উদ্যোগ যদি আপনারা নিতেন। কারণ, আমরা যারা সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাক্টিস করি এয়ার কন্ডিশন থাকায় আমাদের হয়তো এখানে তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু সারাদেশের আদালতগুলাতে যারা প্রাক্টিস করেন তাদের গরমের দিনে অনেক কষ্ট হয়।’

তখন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আমরা এখানে কালো কোট পরি। বিদেশে কিন্তু এরকম কালো কোট না। লন্ডনে পরে ডার্ক (ধূসর), সেটা কালো নয়। তবে আমাদের সিভিল কোর্টস এন্ড অর্ডারে এই (কালো কোট-গাউনের) ড্রেসের কথা বলা আছে। তাই এটা পরিবর্তন করতে হলে রুলসের এমেন্ডমেন্ট লাগবে। আমি বা আমরা তো সেটা পারব না।’

এসময় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘মাই লর্ড আপনি একটা সার্কুলার দিয়ে তো এটা সংশোধনী করতে পারেন।,

তখন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ইমান আলী বলেন, শীতকালে এবং গরমকালে আলাদা ড্রেস এটা আর কোনো দেশে আছে নাকি? জবাবে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘আছে, মাই লর্ড আছে। কোথায় কোথায় আছে আমি তার তালিকা দিতে পারব। তখন আদালত বলেন, আপনি সেগুলো দিয়ে তাহলে তো আবেদন করতে পারেন।’

এরপর দিনের কার্যতালিকা অনুযায়ী মামলার শুনানি শুরু করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।