ভোরের সূর্য উঠলেও আলো নেই তেমন। দিন শুরু হতে হতে গ্রীষ্মের চিরাচরিত আলোকিত সকালের বদলে আকাশ অন্ধকার হয়ে উল্টো দিন শেষের রূপ নিয়ে এলো।
রোববার রাজধানী ঢাকাবাসীর দিনের শুরুটা হয়েছে এভাবেই। সকাল ৮টার পর থেকেই হঠাৎ করে সন্ধ্যা নেমে এসে শুরু হলো তুমুল ঝড়, আর তারপর বৃষ্টি। বজ্রপাতের তীব্র শব্দে কানে তালা লেগে যায়। প্রবল বৃষ্টিতে একটু দূরের ভবনগুলোও যেন দৃষ্টিসীমার বাইরে!
কালবৈশাখীর তোড়ে কিছুটা সময়ের জন্য থেমে যায় তাদের দৈনন্দিন কর্মব্যস্ত জীবন। ছুটির মধ্যেও এ সময় যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা নিজ নিজ কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হয়েছেন, তাদেরকে পড়তে হয়েছে প্রকৃতির এই ভয়াল রূপের রোষানলে।
পুরো দেশ জুড়েই কমবেশি এই অবস্থা। বৈশাখে যখনতখন কালবৈশাখীর এই বৈরি আবহাওয়ার তাণ্ডব টানা আরও দু’তিন দিন চলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী লঘুচাপ বিরাজ করছে। তবে চলতি মৌসুমে এটা স্বাভাবিক। গ্রীষ্মের মৌসুমী জলবায়ুর কারণে সারাদেশে তীব্র ঝড়বৃষ্টি চলছে।
তিনি জানান, ঢাকায় সকাল থেকে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৩ কিলোমিটার।
রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া এবং বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া অফিস থেকে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ। তাপমাত্রা সারা দেশে সার্বিকভাবে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানান তিনি।