বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ও ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি (প্রিজন) মো. আজিজুল হকের বিরুদ্ধে নারী কারারক্ষীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ-উপাত্ত না থাকায় ওই অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ না করে খারিজ করে দেন বিচারক সুদীপ্ত দাস।
সোমবার ওই কারারক্ষী ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন ও তার দুই সহযোগী কারারক্ষী নিজাম ও শেখ ফরিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে কয়েকদফা ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে নালিশী অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ খারিজ করে দেয়ায় বাদী ন্যায় বিচার বঞ্চিত হয়েছেন জানিয়ে বলেন, তিনি এর বিরুদ্ধে উচ্চাদালতে যাবেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ ইমন জানিয়েছেন, সোমবার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কারা কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তৎপরতার কারণে বাদী ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
ওই নারী কারারক্ষীর অভিযোগ, স্ত্রী ঢাকায় কর্মরত থাকায় আজিজুল হক বরিশালে একাই বাসায় থাকেন। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা থেকে বদলী হয়ে বরিশালের জেল সুপারের কাছে রিপোর্ট করেন তিনি। ১৫ জানুয়ারি তাকে ঝালকাঠি জেলা কারাগারে পদায়ন করা হলেও ১৯ ফেব্রুয়ারি তাকে প্রেষণে বরিশাল কারাগারে এনে বন্দী সাক্ষাতের স্লিপ কাটার দায়িত্ব দেয়া হয়।
‘আজিজুল প্রায়ই তাকে অফিসে ডেকে নিয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে যৌন নিপীড়ন করে। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করলেও আজিজুল আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।’
বাদীর অভিযোগ, ‘গত ১৮ অক্টোবর রাতে কারারক্ষী নিজাম ও শেখ ফরিদকে দিয়ে জেল সুপারের সরকারি বাসায় তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়। এক পর্যায়ে তিনি দৌড়ে নিজের বাসায় চলে যান।
ঘটনার পর বাদীকে অন্যত্র বদলী এবং চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিয়ে সরকারি বাসায় তালা ঝুলিয়ে দেয়ারও অভিযোগ করেন তিনি।