যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ আবেদন খারিজের রায় ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিচারপতিদের সইয়ের পরে বৃহস্পতিবার রাতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে রায় পাওয়ার পর তা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রাত ৯টার কিছুক্ষণ আগে ট্রাইব্যুনালের একজন সাব-রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রায়ের কপি কারাগারে নিয়ে যান।
এখন কারা কর্তৃপক্ষ সাকা-মুজাহিদকে রায়ের কপি পড়ে শোনাবেন এবং তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবে কি না, তা জানতে চাওয়া হবে। তবে ইতিমধ্যে ফাঁসি কার্যকরের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
রায়ের একটি কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসক কার্য্যালয়েও পাঠানো হবে। ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
রায় প্রদানকারী প্রধান বিচারপতিসহ চার বিচারপতি স্বাক্ষর শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে এ রায় প্রকাশ করে আপিল বিভাগ। গত বুধবার সাকা-মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে আপিল বিভাগ।
রায় প্রকাশের পর এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুজাহিদ ও সাকাকে পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পড়ে শোনানো হবে। মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পেতে সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে তাদের সামনে রয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া সুযোগ রয়েছে।
রায় শোনানোর মাধ্যমে কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে জানতে চাইবেন যে তারা ক্ষমা চাইবেন কি-না। ক্ষমা প্রার্থনার এ বিষয়টি নিষ্পত্তির পর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে ফাঁসির রায় কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ।
সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে আজ তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেছেন। রায়কে ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।