নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৮ রানে ইংল্যান্ডের অলআউট হওয়াটাকে মহাধস বলা গেলেও সে তুলনায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাউথ আফ্রিকার ভেঙে পড়াটাকে ধস বলা যায় না। তবে কেপ টাউনে শেষ বিকেলে যেটা ঘটল সেটাকে আবার বলাও যায়।
সিরিজে প্রথমবারের মত টসে জিতেছিলেন অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস। অজিদের বিপক্ষে এদিন ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ডিন এলগার। তার সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি করেন এবি ডি’ভিলিয়ার্সও। দুজনের ১২৮ রানের জুটিতে একসময় ২ উইকেট হারিয়ে ২২০ তাদের স্কোর। সবই যেন ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব ডুবে গেল মনে হল। শেষ ৩৭ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা।
অজি পেসার প্যাট কামিন্সের ঝড়ের মধ্যও প্রোটিয়াদের দেয়াল হয়ে আছেন এলগার। দিনশেষে ওপেনার এলগারের অপরাজিত ১২১ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান করেছে স্বাগতিকরা।
এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। দলীয় ৬ রানের মাথায় মার্করামকে (০) স্টিভেন স্মিথের তালুবন্দী করেন জস হ্যাজেলউড। এরপর অবশ্য হাশিম আমলার সাথে ৮৬ রানের জুটি গড়ে দিনটি নিজেদের করে নেন অন্য ওপেনার ডিন এলগার।
হ্যাজেলউডের বলে ব্যক্তিগত ৩১ রানে আমলা ফিরে গেলে এলগারের সাথে যোগ দিয়ে ১২৮ রানের জুটি গড়েন ডি’ভিলিয়ার্স। সাউথ আফ্রিকার দলীয় রান যখন ২২০ তখনই আঘাত হানেন প্যাট কমিন্স। ডি’ভিলিয়ার্সকে (৬৪) আউট করার পর তিনি একে একে বিদায় করেন ফ্যাফ ডু প্লেসি (৫), টিমবা বাভুমা (১) ও কুইন্টন ডি কককে (৩)।
ভারনন ফিল্যান্ডারকে (৮) আউট করে স্বাগতিকদের স্কোর ৭ উইকেটে ২৫৪তে পরিণত করেন মিচেল মার্শ। আর দলীয় ২৫৭ রানের মাথায় মিচেল স্টার্কের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন কেশব মহারাজ (৩)।
সবশেষ কাগিসো রাবাদাকে নিয়ে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান করে দিন শেষ করেন এলগার। তিনি অপরাজিত থাকেন ১২১ রানে। আর রাবাদা ৬ রানে অপরাজিত আছেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার কমিন্স।