কাবুল বিমানবন্দরে তীব্র বিশৃঙ্খলার মধ্যে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তালেবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পরে অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাতেই বিমানবন্দরে তীব্র বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
ভিড় সরাতে যুক্তরাষ্ট্র কিছু ফাঁকা গুলি চালিয়েছে বলেও জানা গেছে। মার্কিন সেনাদের বড় বড় বেশ কিছু কার্গো বিমান এখনও বিমানবন্দরে রাখা আছে।
এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আফগানিস্তানের বিমানসেবা। দেশটির আকাশসীমা আর ব্যবহারযোগ্য নয় বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে করে ওখান থেকে জনগণকে দেশে আনার কাজ করা হলেও এখন আর তা করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে কাবুল বিমানবন্দরে হুড়োহুড়ির চিত্র দেখা গেছে, সেই সাথে সেখানে গুলির শব্দও শোনা গেছে।
সোমবার সকাল থেকে পুরো কাবুলজুড়ে তালেবানদের বিচরণ করতে দেখা যায়।
২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার সাথে সাথেই সেখানে অস্থিরতা তৈরি হয়। রোববার পুরোপুরি দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবানরা। সবার আশঙ্কা, ২০০১ সালে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে যেসব মানবাধিকার অর্জন করা গিয়েছিল এখন তা আবার হারিয়ে যাবে।
১৯৯০ সালে তালেবান নিয়ন্ত্রণাধীন জীবনে নারীদের পুরোপুরি বোরকা পরতে বাধ্য করা হতো, ১০ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের জন্য শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিলো এবং প্রকাশ্যে ফাঁসিসহ নৃশংস শাস্তির ব্যবস্থা ছিলো।