আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিকটবর্তী মাজাং স্কয়ারে আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়েছে। এ ঘটনায় আরও দু’শতাধিক লোক আহত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম গুলোতে বলা হচ্ছে।
হাজারা সংখ্যালঘুদের বিক্ষোভকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ হামলার সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে।
আফগানিস্তানের শিয়া হাজারা সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরেই দেশটিতে অবহেলিত। বামিয়ান এলাকার এ বাসিন্দারা আফগানিস্তানের অন্যসকল এলাকা থেকে পিছিয়ে। তারপরও পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগই নেই। উল্টে আছে তালেবানের দৌরাত্ম্য।
হাজারা সম্প্রদায়ের দাবি: যতো ব্যয়ই হোক একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের পাওয়ারলাইন তাদের এলাকা দিয়ে পাঠাতে হবে, যাতে তারা বিদ্যুৎ সুবিধা পেতে পারেন। ৫০০ কিলোভোল্টের ওই টুটাপ পাওয়ার লাইন মধ্য এশিয়ার তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের সঙ্গে বিদ্যুতের অভাবে ভুগতে থাকা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সংযোগ ঘটাবে।
এ দাবিতে হাজারা গোষ্ঠির লোকজন একত্রিত হয়ে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করছিলো বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। আর তখনই বিস্ফোরণ। মুহূর্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে একের পর এক দেহ।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে: আত্মঘাতী হামলাকারীর লক্ষ্যবস্তু ছিলো বিক্ষোভ-স্থল। হামলার পর এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তাৎক্ষণিক ভাবে হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। তবে গরম পড়লেই আফগানিস্তানে তালেবানের দৌরাত্ম্য বাড়ে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে তালেবান সংশ্লিষ্টতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়নি।