আফগানিস্তান ছেড়ে আসার সময়ে আইএসের গাড়ি লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র যে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল তাতে নিহতরা কেউ আইএস জঙ্গি সদস্য ছিল না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করায় আইএসকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দুটির তদন্ত ও বিশ্লেষণে জানা গেছে, ড্রোন থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গাড়িতে আগুন লাগে। সংবাদমাধ্যম দুটি জানিয়েছে জেমারি আহমাদি নামের ওই গাড়ি চালক নিউট্রিশন অ্যান্ড এডুকেশন ইন্টারন্যাশনালের গাড়ি চালাতেন। ড্রোন হামলার দিন তিনি তার বসের ল্যাপটপ নেওয়া ও সহকর্মীদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে থেমেছিলেন। মার্কিন নজরদারির ড্রোন যে ভারী বস্তুসহ তিনজনকে গাড়িতে উঠতে দেখেছিল, সেগুলো ছিল মূলত পানির কনটেইনার।
সেদিন বিকেলে আহমাদি যখন বিমানবন্দরের কাছে তার বাসায় ফেরেন তখন তার ও ভাইয়ের ছেলেরা বের হয়ে আসে এবং গাড়িতে চড়ে বসে। সেসময় তাদের ওপর ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
৩১ আগস্ট আফগানিস্তান ছাড়ার আগে, ২৯ আগস্ট কাবুলে আমেরিকার সেই শেষ ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১০ জনের। পরদিনই জানা গিয়েছিল, নিহতদের মধ্যে রয়েছে কয়েক শিশুও।
গত ১৫ আগস্ট কাবুলের পতনের আগে থেকেই আফগানিস্তান থেকে বিদেশি ও আফগানদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলো। গত দুইদিনে কাবুল বিমানবন্দর থেকে কাতার এয়ারওয়েজের দুটি চার্টার ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। যেগুলোর যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি নাগরিক এবং সেসব আফগান নাগরিক, যাদেরকে উদ্ধার কার্যক্রমের সময় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
গত সপ্তাহ থেকে আফগান এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলছে। গত ৩০ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সর্বশেষ মার্কিন সেনা চলে যাওয়ার আগের দুই সপ্তাহে বিশৃঙ্খল এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে লক্ষাধিক মানুষকে উদ্ধারের সময় কাবুল বিমানবন্দরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।