কানে প্রথমবার বাংলাদেশের কোনো সিনেমা অফিশিয়ালি নির্বাচিত হয়েছে। জুন মাসের শুরু থেকেই সেই আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভাসছে বাঙালি সিনেমাপ্রেমী সহ এই সিনেমা সংশ্লিষ্টরাও। কিন্তু যিনি সিনেমাটির মূল কাণ্ডারি, তারই ছিলো না কোনো খবর!
বলছি কানের ‘আনসার্টেন রিগার্ড’ বিভাগে স্থান করে নেয়া ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এর নির্মাতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের কথা।
কানে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সবাই তাকে খুঁজলেও কোথাও পাওয়া যায়নি সাদকে। গণমাধ্যমতো দূর, তাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো শাখায়!
এমনকি প্যারিসে গিয়ে দশ দিন কোয়ারেন্টাইন কাটানো ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এর বাকি সদস্যদের স্থিরচিত্র ও ভিডিওতে দেখা গেলেও কোথাও ছিলেন না সাদ। সব সময় ছিলেন ক্যামেরার পেছনে, আড়ালে! কিন্তু এবার তাকে পাওয়া গেল ক্যামেরার সামনে!
বুধবার কানের স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশে সময় বিকেল ৩টা ১৫ মিনিট) ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। সেই প্রদর্শনীতে যোগ দিতেই সহকর্মীদের সাথে কান উৎসবে উপস্থিত হন সাদ। প্রদর্শনী শুরুর আগে কানের ডেবুসি থিয়েটারের সামনে দলীয় ছবিতে অংশ নেন তিনি।
স্থিরচিত্রে সবার মধ্যমণি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এর কেন্দ্রীয় চরিত্র আজমেরী হক বাঁধন। তাকে ঘিরে নির্মাতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ সহ ছবি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সাতজন। স্থিরচিত্রটি দেখলে যে কারো মনে হতে পারে, সাত ভাই চম্পার কথা!
বাঁধন ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে কানের আমন্ত্রণে গিয়েছেন নির্মাতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, নির্বাহী প্রযোজক বাবু, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার শৈব, কালারিস্ট চিন্ময়, প্রোডাকশন ডিজাইনার উজ্জ্বল, সিনেমাটোগ্রাফার তুহিন। এদিন তাদের সাথে সিঙ্গাপুর থেকে এসে অংশ নেন এই ছবির প্রযোজক জেরেমি চুয়া।
ছবিটির প্রদর্শনী শুরুর আগে বাঁধন শুধু বললেন, ‘সবার একটু শুভ কামনা চাই।’
কান উৎসবের ‘আনসার্টেন রিগার্ড’ [ভিন্ন দৃষ্টিকোণ] বিভাগে বাংলাদেশের এই ছবিটিসহ এ বছর মনোনয়ন পেয়েছে মোট ১৫ দেশের ১৮টি সিনেমা।
এ বিভাগে বিচারকদের সভাপতি হিসেবে এবার থাকছেন ব্রিটিশ নির্মাতা অ্যান্দ্রেয়া আর্নল্ড। বিচারক দলে আরও থাকছেন মার্কিন নির্মাতা মাইকেল কোভিনো, ফরাসী অভিনেতা এলসা জিলবারস্টেইন। আর্জেন্টিনার নির্মাতা ড্যানিয়েল বারম্যান এবং আলজেরিয়ান নির্মাতা মউনিয়া মেডৌর।