আহসান রাজীব বুলবুল: গত ৫ ও ৬ জুলাই কানাডার ক্যাল্গেরিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ২০০০ সালে পাস করা উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত প্রকৌশলী পরিবারের সদস্যদের দুই দিনব্যাপী মিলনমেলা।
সারথি ’৯৩ রি-ইউনিয়ন ২০১৯ নামে পরিচিত এই মিলনমেলায় উত্তর আমেরিকা ছাড়াও ইউরোপের কয়েকটি দেশ থেকে প্রকৌশলী পরিবার, তাদের আত্মীয়-স্বজন এবং ক্যাল্গেরিতে বসবাসরত আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মিলনমেলাটি হয়ে উঠেছিলো প্রাণবন্ত।
মিলনমেলায় অংশগ্রহণকারী সবাই আমারিকা, ইউরোপে বসবাসকারী হলেও পুরো অনুষ্ঠানটিকে সাজানো হয়েছিলো বাংলাদেশি সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে। বাচ্চাদের পরিবেশনা “আমরা করবো জয়…” গান দিয়ে শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি শেষ হয় প্রকৌশলীদের পরিবেশনায় “কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই …”।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও এই মিলনমেলার আরেকটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল কর্মব্যাস্ত জীবনের একঘেয়েমিকে কিছুক্ষণের জন্য পেছনে ফেলে পরিবার পরিজন নিয়ে লেক আর পাহাড়ের নৈসর্গিক পরিবেশ ব্যানফ ন্যাশনাল পার্কে কিছু সময় কাটানো।
আয়োজকদের একজন প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান: আমাদের ছেলে-মেয়ে যারা এখানে বেড়ে উঠছে তাদেরকে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি সম্পর্কে সাম্যক ধারণা দেয়াই আমাদের এই আয়োজনের মুল উদ্দেশ্য। এছাড়া আমরা যারা বাইরে বসবাস করি তারা সবাই মিলে একটা বৃহৎ পরিসরে ফাউন্ডেশন গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে কিভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারি সে বিষয়ে আলাপ আলোচনা করাও ছিল আমাদের এই মিলনমেলা আয়োজনের আরেকটি উদ্দেশ্য।
মিলনমেলায় জার্মানি থেকে যোগ দিয়েছিলেন আবু ফিরোজ ইসমাইল, ইউএসএ থেকে শান্তা গাঙ্গুলী, আহমেদ লুতফুল, রকিবুল মুজাহিদ, নিলুফার রহিম, তানিম মির্জা, মলি শান্তনু এবং কানাডা থেকে আরিফ ওয়াহিদ, শরিফ নেওয়াজ, রাশেদীন হাবিব, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সহ আরও অনেকে।
মিলনমেলার শেষ দিনে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং প্রতি দুই বছর পর পর এমন মিলনমেলা আয়োজনের অভিব্যাক্তি প্রকাশ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন রি-ইউনিয়ন আয়োজক কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা প্রকৌশলী জনাব মোহাম্মদ শাহ আলম।