খালেদ হোসেন প্রেমে পড়েছিলেন। প্রথমত তার বাগদত্তা তাসিনা আসদোহনক এবং তারপর ভারতীয় খাবার টেকোর। তাই কানাডাতে বসেই এই খাবারটির স্বাদ নিতে চাইছিলেন তিনি।
২০১১ সালে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় যান হোসেইন। সেখানেই ফার্স্ট ন্যাশন সাস্কের মেয়ে আসদোহনকের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং তারা ডেট করা শুরু করে। অবশেষে অ্যাসদোহনক তাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই তার পরিবার এবং তাদের খাবারের সঙ্গে পরিচয় হয় তার।
খালেদের মতে, আমি খাবার পছন্দ করি। তাই সব ধরনের এবং যে কোনো ধরনের খাবার আমি চেখে দেখতে চাই।
কিন্তু ভারতীয় টেকো টেস্ট করতে গিয়ে প্রথমবারেই প্রেমে পড়ে গেছিলেন খালেদ। উপরে খানিটা চিজ আর অল্প একটু টক টক ক্রিম সমেত টেকোর জুড়ি মেলা ভার।
হোসেন বলেন, প্রথম বার খেতে গিয়ে দুটি নিয়েছিলাম। পরেরবার গিয়ে চারটি। দুটি তখনই খাওয়ার জন্য, আর বাকি দুটি পরে।
রেজিনাতে বসেই এমন একটা খাবারের জন্য মন কাঁদছিলো তার। কিভাবে সেটা সম্ভব। তাই অবশেষে দুজনে মিলে একটি রেস্টুরেন্ট খোলারই পরিকল্পনা নিলেন।
রেজিনার নর্থ সেন্ট্রাল নেইবারহুডের ৩০৪০ ৫ম অ্যাভিনিউতে একটি জায়গা পেলেন খালেদ। এরপরই সেখানে সবার কাছ থেকে নিজেদের ব্যবসার ব্যাপারে ইতিবাচক সহায়তা পাওয়া শুরু করলেন।
অ্যাসদোহনক বলেন, ক্রিল্যান্ড গ্যাস স্টেশনের কিছু কর্মী প্রায় প্রতিদিনই আমাদের খাবার অর্ডার করে। তবে এখানকার আর একটি বিশেষ খাবার বানোক খালেদকে শিখিয়েছে অ্যাসদোহনকের আন্টি।
কবিরের সিক্রেট রেসিপি জানতে চাইলে খালেদ জানায়, খাবার কোনো রকেট সায়েন্স নয়। খাবার ভালোবাসার বিষয়। ভালোবাসলেই দেখবেন সেটা ঠিকঠাক বানাতেও পারছেন।
শুক্রবার ও শনিবার হ্যামবার্গার স্যুপ সার্ভ করা হয় খালেদ ও অ্যাসদোহনকের রেস্টুরেন্টে। বাকি দিনগুলোতে ব্যানোক দিয়ে ভারতীয় টেকো এবং বার্গারের বিক্রিই সর্বোচ্চ। বাটার চিকেন স্যান্ডুইচ এবং ব্যানক পিজারও খোঁজ মিলবে এখানে।
খালেদের মতে, আপনি নিশ্চয়ই পাঞ্জাবি মশলা দিয়ে ইটালিয়ান ফুড চাইবেন না। আমরা আমাদের রেস্টুরেন্টের নাম দিয়েই বোঝাতে চেয়েছি এখানে কি কি পাওয়া যাবে? সেটা বুঝেই খাবার অর্ডার করে রেস্টুরেন্টে আসা মানুষগুলো।