কানাডার মন্ট্রিয়ালে কানাডা-বাংলাদেশ সলিডারিটি সংগঠনের আয়োজনে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কানাডার বাংলাদেশ হাই কমিশনার মিজানুর রহমান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত অভিনেত্রী লেখক ও সাংবাদিক ফাল্গুনী হামিদ।
উল্লেখ্য কানাডা-বাংলাদেশ সলিডারিটি সংগঠনের আমন্ত্রণে বিশিষ্ট অভিনেত্রী লেখক ও সাংবাদিক ফাল্গুনী হামিদ বইমেলায় আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে কানাডায় এসেছেন।
মন্টিয়েল বইমেলা উদ্বোধন করেন কানাডাস্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মিজানুর রহমান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট অভিনেত্রী লেখক ও সাংবাদিক ফাল্গুনী হামিদ।
একুশে ফেব্রুয়ারির গান দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান ছোট ছোট শিশুদের ছবি আঁকা,গল্প বলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। বইমেলা উপলক্ষে মন্টিয়লে বইমেলার পাশাপাশি ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ করা হয়। বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ থেকে আগত বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নির্বাহী সভাপতি ও অভিনেত্রী লেখক, সাংবাদিক ফাল্গুনী হামিদ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন অভিনেত্রী লেখক ও সাংবাদিক ফাল্গুনী হামিদ এবং গান পরিবেশন করেন কাদেরী কিবরিয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন মন্ট্রিয়লে প্রবাসী বাঙালি ও সুধীজনেরা। প্রবাসী বাঙ্গালীদের উপস্থিতিতে পুরো অনুষ্ঠান একখণ্ড বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়।
আলোচনা সভায় কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার মিজানুর রহমান বলেন- ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের উন্মেষ। ভাষা আন্দোলন না হলে হয়তো আমরা আজকের এ স্বাধীনতা পেতাম না। তিনি আরো বলেন বাংলা ভাষার চর্চায় আরো গুরুত্ব বাড়াতে হবে।
বিশিষ্ট অভিনেত্রী শিল্পী লেখক ও সাংবাদিক ফাল্গুনী হামিদ বলেন-. ‘উর্দু নয় বাংলা হবে পুর্ব পাকিস্তান এর রাষ্ট্র ভাষা প্রথম বলেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর ২১ কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা আদায় করেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন প্রবাসেও বাংলা ভাষার গুরুত্ব দিয়ে আমাদের কোমলমতি শিশুদের মাঝে এর চর্চা করতে হবে। পরিশেষে তিনি কানাডা-বাংলাদেশ সলিডারিটি সংগঠনসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান।