কানাডায় করোনার কালো থাবায় অনেক ব্যবসা স্থিমিত হয়ে আছে এবং অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এয়ারলাইনস ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। আর এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নানা ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘাটতি পূরণে যদি ফেডারেল ও প্রাদেশিক সরকার এগিয়ে না আসে তাহলে মূলধনী প্রকল্পগুলো হয় বাতিল করতে হবে, না হয় পিছিয়ে দিতে হবে এবং রিজার্ভ তহবিল থেকে অর্থ ধার করতে হবে।
কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা থেকে অর্থনীতিকে ফিরিয়ে আনতে ফেডারেল সরকার মিউনিসিপ্যালিটিগুলোকে বিশেষভাবে সহায়তার পদক্ষেপ নিয়েছে। টরন্টোতে নতুন পরিবহন অবকাঠামো তৈরিতে ফেডারেল সরকার ইতিমধ্যে দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। নতুন অর্থায়নটি হবে এর অতিরিক্ত।
একে যুগান্তকারী বিনিয়োগ উল্লেখ করে টরন্টো মেয়র জন টরি বলেন, টরন্টো ও আমাদের গণপরিবহন ব্যবস্থার জন্য এটা বিরাট খবর।
কানাডার মিউনিসিপ্যালিটির গণপরিবহন ব্যবস্থায় ১৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। আগামী আট বছরে এ অর্থ বিনিয়োগ করা হবে। তবে বিনিয়োগের বড় অংশ পেতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ঘোষিত তহবিল থেকে টরন্টো কী পরিমাণ অর্থ পাবে সেটি এখনও পরিস্কার নয়। তবে সিটির গণপরিবহন নেটওয়ার্কের ওপর উল্লেখযোগ্য মাত্রায় প্রভাব ফেলার জন্য তা যথেষ্টই হবে বলে জানান টরন্টোর মেয়র।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস ঘোষিত তহবিলের ন্যায্য অংশই টরন্টো পাবে এবং কোভিড-১৯ মহামারি থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য তা যথেষ্ট হবে। নগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ, যানবাহন ও অন্যান্য ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, কর্মসংস্থান এবং সবুজ নগরী গড়ে তুলতে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
কানাডার সরকার করোনা মহামারীর প্রথম থেকেই নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও অর্থনীতিক স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যা এখনো বলবৎ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন অব্যাহত করোনার এই সময়ে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রশংসার দাবি রাখে। অন্যদিকে শুরু হওয়া ভ্যাকসিন প্রয়োগও ধীরে ধীরে কানাডিয়ানদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভূমিকা রাখবে।