নাতিনাতনিদের ভীষণ ভালোবাসতেন অভিনেতা আবদুল কাদের। বিশেষ করে শিশু অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত মুখ সিমরিন লুবাবার জন্য এক কথায় পাগল ছিলেন ‘বদি’ খ্যাত এই অভিনেতা। এমনটাই জানিয়েছেন তার স্ত্রী খাইরুনন্নেসা।
স্বামীর মৃত্যুর পর খাইরুনন্নেসা বলেন, আরো কিছুদিন বাঁচতে চেয়েছিলেন তিনি (আবদুল কাদের)। তার একটা শেষ ইচ্ছে ছিলো, সেটা পূরণ করে যেতে পারেননি।
কী সেই ইচ্ছে? অভিনেতার স্ত্রী জানান, নাতিরা তার জান ছিলো, সব সময় বুকে আগলে রাখতো তাদের। তারাও তাকে ভীষণ ভালোবাসতো, তার সাথে থাকতেই পছন্দ করতো। নাতনি লুবাবার কোথাও শুটিং হলে তার সাথে গিয়ে শুটিং সেটে বসে থাকতেন। তিনি তাদের সুপ্রতিষ্ঠিত দেখে যেতে চেয়েছিলেন, এই একটা ইচ্ছাই অসমাপ্ত রেখে চলে গেলেন তিনি।
‘তিনি চেয়েছিলেন, নাতনিরা যেন ঠিকঠাকভাবে পড়াশোনা করেন, এখন যেভাবে অভিনয় করছেন সেটা যেন ঠিকভাবে চালিয়ে যান। গানের চর্চা যেন নিয়মিত করেন। এরপর প্রাপ্ত বয়স্ক হলে পড়ালেখার বিষয়টি নিজেদের ইচ্ছে মতো বেছে নেন। এই কাজগুলো তিনি নিজের চোখে দেখে যেতে চেয়েছিলেন, দুর্ভাগ্য সে পারলো না।’ এই বলে কাঁদতে শুরু করেন স্ত্রী খাইরুনন্নেসা।
শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ক্যানসার আক্রান্ত অভিনেতা আবদুল কাদের। তার মৃত্যুতে অভিনয় জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।