রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে ব্যর্থ ইটালি কি কাতারে যেতে পারবে? বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে উত্তরটা আসলে বিশ্বকাপে থাকবে না পর্তুগাল। সহজ কথায়, বিশ্বকাপের আসন্ন আসরে ইটালি এবং পর্তুগালের যেকোনো একটি দল পাবে খেলার সুযোগ। এরপরও আছে যদি কিন্তু। পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতে, ‘কঠিন লড়াই’ দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব।
ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে নতুন ধারার প্লে-অফে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়েছে পর্তুগিজ ও আজ্জুরিরা। গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হতে ব্যর্থ দুটি দলের লড়তে হচ্ছে আসরে জায়গা করতে। সেখানেই যত ঝামেলা। প্লে-অফে খেলবে মোট ১২টি দল। যার মধ্য থেকে কাতারের টিকিট পাবে মাত্র ৩টি দেশ। তিন গ্রুপে ভাগ হওয়া রাউন্ডে একই গ্রুপে পড়েছে ইটালি, পর্তুগাল ও তুরস্ক। অর্থাৎ, এ তিন থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছে যেকোন দুটি দল।
পর্তুগিজদের অধিনায়ক নিজের দল নিয়ে আশাবাদী। তবুও মনে করছেন, আসছে মার্চে অপেক্ষা করছে ‘বড় লড়াই’। বিশ্বাস, নিজেরা ততদিনে ফিরবেন কঠিন রূপে। লড়বেন একটি টিকিটের লড়াইয়ে।
‘আমরা জানি, আমাদের কঠিন লড়াই আছে— প্রথমে তুরস্ক। জিতলে, লড়তে হবে সম্ভবত ইটালির সঙ্গে। দেখি কী হয়। মার্চে আমরা প্রস্তুত হব, এটি একটি যুদ্ধের মতো। যা ফুটবল ভক্তদের জন্য দুর্দান্ত হবে।’
প্লে-অফ রাউন্ডে আসছে মার্চে তুরস্ককে আতিথেয়তা দিবে রোনালদোর দেশ। ২৪ মার্চের পাঁচদিন পর লড়বে ইটালির বিপক্ষে। গ্রুপে তিন দলের সেরা দল খেলতে পারবে কাতার বিশ্বকাপে। পথটা কঠিন মানছেন রোনালদো।
ফুটবলে পর্তুগিজদের হয়ে অভিষেকের পর ২০০৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সব মেজর টুর্নামেন্টে খেলেছেন রোনালদো। এর মাঝে রয়েছে চারটি বিশ্বকাপ এবং পাঁচটি ইউরো। ছিলেন ২০০৪ ইউরো কাপের ফাইনালেও। এবার যদি পর্তুগাল কোয়ালিফাই করতে না পারে তাহলে এটাই হবে রোনালদোর দেশ ছাড়া প্রথম কোনো বৈশ্বিক আসর।
‘এটা খুবই দুঃখজনক হবে যদি বিশ্বকাপে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারি। ফুটবলে এমনকি নিজের জীবনে আমরা কঠিন মুহূর্তগুলির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তবে গুরুত্বপূর্ণ তা হল আমরা ফিরে আসতে পারি।’
চলতি বছরের নভেম্বরের ২১ তারিখে বেজে উঠবে বিশ্বকাপ ফুটবলের দামামা। মাসব্যাপী আসরটির পর্দা নামবে ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ। যেখানে হয়ত থাকবেন না রোনালদোর পর্তুগাল নয়তো ইটালি। আবার দুই দলও না থাকতে পারে। যদি, তবু এবং কিন্তুর শেষ হতে অপেক্ষা মার্চ পর্যন্ত।