সৌদি আরব ও আরও কয়েকটি দেশ কাতারের ওপর যে অবরোধ আরোপ করেছে তা সম্পূর্ণ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা ইউরো-মেডে। সংস্থাটি থেকে বলা হচ্ছে, সৌদি-নেতৃত্বাধীন অবরোধের কারণে কাতারের কাছে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়টিক ওষুধ এবং চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি পৌঁছাচ্ছে না।
গত মঙ্গলবার মানবাধিকার সংস্থা ইউরো-মেডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের সাথে ব্যবসা করা বেশিরভাগ ইন্টারন্যাশনাল ফার্মাসিউটিকাল সাপ্লাই কোম্পানি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসে। অবরোধের কারণে তাই সকল ওষুধ সাপ্লাই বন্ধ হয়ে পরেছে।
ইউরো- মেডের মুখপাত্র সারা প্রিটচিট বলেন, জীবন রক্ষাকারী অনেক ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সরঞ্জামগুলি সীমান্ত অতিক্রম করে কাতারে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ফলে কাতারের অনেক হাসপাতালে সার্জারি এবং অপরেশন প্রায় বন্ধ আছে।
উপসাগরীয় দেশ সৌদি আরব, বাহরাইন, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত কাতারের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এবং কাতার অবরোধের ফলে কাতারের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ওষুধ বাণিজ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পরেছে।
দেশটিতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার জন্য, স্বাস্থ্য ঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং সৌদি আরবে ভ্রমণ না করতে পারায় দুই কাতার শিশুর অপারেশন এখন হুমকির পথে। অনেক পরিবার এখন খুব অসহায় হয়ে পরেছে তাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া থেকে বিরত রাখার ফলে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো থেকে বলা হচ্ছে, খুব পরিস্কারভাবে দেখা যাচ্ছে কাতার অবরোধ মানবাধিকার লঙ্ঘন ছাড়া কিছুই না।
আরব বিশ্বের অন্যতম ক্ষুদ্র রাষ্ট্র কাতারের জনসংখ্যা মাত্র ২৪ লাখ। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ জনগণই বিদেশি। মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদে মদদ ও অর্থায়নের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য উপসাগরীয় অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে গত ৫ জুন সৌদি আবর, মিশর, সংযুক্ত অারব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন, লিবিয়া এবং মালদ্বীপ কাতারের সঙ্গে সব ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে সার্বিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জিসিসি।