নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের দেয়া তথ্যের সাথে মরদেহ মিলিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। স্বজনদের তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহগুলো সনাক্ত করতে পারলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে স্বজনদের জানিয়ে দেয়া হবে।
কোন কারণে মরদেহ সনাক্ত করতে ব্যর্থ হলে বিকেল নাগাদ স্বজনদেরকে মরদেহ দেখতে নিয়ে যাওয়া হবে হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৮ মরদেহ সনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের সনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্ট করা হবে। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে সনাক্তের পর নেপাল পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পেলে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
তাই বেঁচে ফিরবার আর কোন অপেক্ষা নেই। স্বজনদের এখনকার প্রতীক্ষা যদি নিথর দেহগুলো একবার দেখা যায়! সেই আশায় তারা ভীড় বাড়ছে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর টিচিং মেডিকেলের মর্গে। বাংলাদেশি স্বজনদের সঙ্গে অপেক্ষায় নিহত নেপালিদের স্বজনরাও।
১২ মার্চ ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে ছেড়ে গিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নেপালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়।
এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫১। এর মধ্যে ২৮ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি এবং ১ জন চীনা নাগরিক। চিকিৎসাধীন যাত্রীদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উড়োজাহাজটিতে থাকা ৬৭ যাত্রীর মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক। উড়োজাহাজটিতে ৬৭ যাত্রীর পাশাপাশি ৪ জন ক্রু ছিলেন বলে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।