নিয়মিত কর্মদিবস কমিয়ে এনে আইসল্যান্ডে ‘ দুর্দান্ত সাফল্য’ পাওয়া গেছে। কর্মদিন হ্রাস করা হলেও কর্মচারী-শ্রমিকদের বেতন একই পরিমাণ প্রদান করায় প্রত্যেক শ্রমিক-কর্মচারী উৎসাহের সঙ্গে কাজ করেছেন। এতে করে উৎপাদানশীলতার অগ্রগতি হয়েছে- বলছেন গবেষকরা।
দেশটিতে পরিচালিত বিভিন্ন পরীক্ষায় এমন ফলাফল পাওয়া গেছে। আইসল্যান্ডের ২ হাজার ৫০০ এর বেশি শ্রমিককে অন্তর্ভুক্ত করে এই পরীক্ষা পরিচালিত হয়, যা কর্মক্ষম জনসংখ্যার প্রায় ১ শতাংশ।
আইসল্যান্ডের বিভিন্ন প্রিস্কুল, অফিস, সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতালসহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের শ্রমিক এতে অংশ নেন। কর্মঘণ্টা ও দিবস কমিয়ে আনার ফলে শ্রকিদের ব্যক্তিগত সময় ও অফিস সমন্বয় করায় তাদের শারীরিক ও মানসিক চিন্তাশীলতারও উন্নতি হয়েছে। এতে করে সংশ্লিষ্ট অফিসের উৎপাদনশীলতা পূর্বের চেয়ে অধিকতর উন্নতি হয়েছে।
বর্তমানে আইসল্যান্ডের পথ ধরে স্পেন এবং নিউজিল্যান্ডেও একই রকম পরীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে।
আইসল্যান্ডে যুক্তরাজ্যের থিংক ট্যাঙ্ক অটোনমি এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর সাসটেইনেবল ডেমোক্রেসি (আলদা) এর গবেষকরা বলছেন, এই ট্রায়ালে দেখা গেছে, সংক্ষিপ্ত কর্মঘণ্টা শ্রমিকদের মাঝে দারুণ উদ্দীপনা সৃষ্টি করে, যা কর্মক্ষেত্রের উন্নতির জন্য বেশ উপকারী।