তার কালো হরিণ চোখের যাদুতে পুরো বলিউড ইন্ডাস্ট্রি ভেসেছে। আর ‘বাজিগর’, ‘দিল ওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘কুচ কুচ হোতা হে’, ‘ফানা’, ‘মাই নেম ইজ খান’ এর মতো সুপারহিট সিনেমায় পাগল করেছে সিনেপ্রেমীদের। সেই হরিণ চোখের কাজলের জন্মদিন ছিলো বুধবার। ৪১ বসন্ত পেরিয়ে ঠিক একই চাহনি দিয়ে এখনো ভক্তদের মাতিয়ে যাচ্ছেন।
সেই হরিণ চোখের কাজলের জন্মদিন ছিলো বুধবার। ৪১ বসন্ত পেড়িয়ে ঠিক একই চাহনি দিয়ে এখনো ভক্তদের মাতিয়ে যাচ্ছেন।
ক্যারিয়ারের এতোটা সময় পেড়িয়ে আসা কাজল’র কিছু অদেখা ছবি তার ভক্তদের জন্য:
১৯৯৩ সালে আব্বাস-মাস্তান পরিচালনায় ‘বাজিগর’ সিনেমার মধ্য দিয়ে শাহরুখ-কাজল রোমান্টিক কেমিস্ট্রি দেখেছে সিনে প্রেমীরা।
জনপ্রিয় পরিচালক আদিত্য চোপড়া হাত ধরে ১৯৯৫ সালে সারা জাগানো সিনেমা ‘দিল ওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ পর্দায় আরো একবার হাজির হন শাহরুখ-কাজল জুটি।
করণ জোহর তার সিনেমায় শাহরুখ কাজল জুটিকে আরো একবার পর্দায় আনতে সক্ষম হয়েছিলো ১৯৯৮ সালে সিনেমা ‘কুচ কুচ হোতা হে সিনেমায়’। ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী নিয়ে তৈরি সিনেমায় রাহুল-অঞ্জলী জুটি তখন সবার স্বপ্নে বসবাস করতো।
সোহেল খান এর পরিচালনায় ‘পেয়ার কিয়া তো ডারনা কেয়া’ সিনেমায় মধ্য দিয়ে কাজল-অজয় নতুন জুটির আগমন।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রি জনপ্রিয় নায়িকা তনুজী মুখার্জি আদরের বড় মেয়ে কাজল ও ছোট মেয়ে তানিশা।
অভিনয় করতে যেয়ে মনের আদান-প্রদান হয় কাজল-অজয়’র। প্রেমের পরিণতি হয় ১৯৯৯ সালে। প্রিয় মানুষটির সঙ্গে মালাবদল করে দীর্ঘ একমাস হানিমুন উদযাপন করেন এই তারকা জুটি।
বিয়ের পর সংসার জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যান কাজল। তবে ২০০৬ সালে সুপারহিট সিনেমা ‘ফানা’ নিয়ে আমির- কাজল জুটি দীর্ঘদিন পর অাবার পর্দায় ফিরেন।
নায়িকা হিসেবে কাজল যেমন জনপ্রিয় মা হিসেবে সন্তানের কাছে তিনি সেরা মা। কাজল-অজয় ঘরে দুই সন্তান মেয়ে নেসা ও ছেলে ইয়ুগ।
২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মাই নেম ইজ খান’ সিনেমায় কাজলের অসাধরণ অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিলো পুরো বলিউড ইন্ডাস্ট্রি।
সন্তানদের জন্য মনের ভালোবাসা উজার করে দেন এই দম্পতি।
কমেডি খ্যাত পরিচালক রোহিত শেঠির হাত আবার শাহরুখ-কাজল জুটি দীর্ঘদিন পর পর্দায় ফিরছেন ‘দিলওয়ালে’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। খুব তাড়াতাড়ি দর্শক দেখতে পাবেন শাহরুখ-কাজলের সেই কেমিস্ট্রি।