চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কাকরাইল মসজিদে হাতাহাতি: ২ সিদ্ধান্তে নমনীয় উভয় পক্ষের শুরাগণ

কাকরাইল মসজিদে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনার পর নমনীয় হয়েছেন দিল্লির নিযামুদ্দীন মারকাযের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী (ওয়াসিফুল ইসলাম গ্রুপ) এবং আলমি শুরা অনুসারীরা (মাওলানা যুবায়ের আহমদ গ্রুপ)।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকের পর উভয় পক্ষের শুরাগণ নমনীয় হন। মসজিদে বর্তমানে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রয়েছে এবং স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করে বলেন, মসজিদের স্বাভাবিক কাজকর্ম চলবে। বাইরে থেকে কেউ এসে মসজিদে অবস্থান করতে পারবে না। তবে নামাজ আদায় করা যাবে। দ্বন্দ্বে জড়িত উভয় পক্ষই এখন নমনীয় হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশে আসার পর তাবলিগ জামাতের নেতাদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করা হবে।

মসজিদ সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে দুটি সিদ্ধান্ত হয়। প্রথমটি হলো: আগামী ১ মে পর্যন্ত সৈয়দ ওয়াসিফ ও মাওলানা জুবায়ের কাকরাইলের বাইরে থাকবেন। দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হলো: দুই গ্রুপের দুইজন করে মোট চারজনকে সাময়িকভাবে কাকরাইলে আসা-যাওয়া না করতে বলা হয়েছে।

সাময়িকভাবে কাকরাইল মসজিদে না যাওয়ার নির্দেশ পাওয়া মুসল্লিরা হলেন: আব্দুল্লাহ মনছুর, ড. এরতেজা হাসান, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ হান্নান ও ড. আজগর।

বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কার্যত অচল ছিলো কাকরাইলে তাবলিগ জামাতের প্রধানকেন্দ্র (মারকাজ)। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ১০-১২টি বাসভর্তি প্রায় হাজারখানেক মাদ্রাসার ছাত্র কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করে।

আগে থেকেও মসজিদে কয়েকহাজার মাদ্রাসা ছাত্র অবস্থান নিয়েছিল। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে তারা তাবলীগের শুরাদের রুম, মাশওয়ারা কক্ষ ও বিদেশী মুসল্লীদের কামরা নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এসময় দুটি নেটওয়ার্ক জ্যামার বসিয়ে মাওলানা সাদের অনুগত শুরাদের সকল ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে। পরে শুক্রবার দুপুরে রমনা থানার পুলিশ নেটওয়ার্ক জ্যামার ডিভাইসগুলো খুঁজে পায়।

চলতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় তাবলীগ জামাতের বিশ্ব আমির মাওলানা সাদের আগমনকে কেন্দ্র করে তাবলীগের শুরাগণ দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন।