রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলেকে হত্যার ঘটনার পরিকল্পনাকারী আল আমিন ওরফে জনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশিদ আলমের কাছে ওই জবানবন্দি দেন তিনি। জবানবন্দি রেকর্ডের পর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মা-ছেলে হত্যা মামলায় ৫ নভেম্বর জনির ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত। রিমান্ডের চার দিন শেষে এ ঘটনায় নিজের দোষ স্বীকার করলেন জনি। এর আগে ৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে গোপালগঞ্জ থেকে জনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। জনি নিহত নারীর স্বামী আবদুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তার ভাই।
জনি ছাড়াও নিহতের স্বামী আবুল করিম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তার ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। তারা এখনও রিমান্ডে রয়েছেন।
গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/এ বাড়িতে শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে শাওনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের গ্রোসারির ব্যবসায়ী।
ওই হত্যার ঘটনায় গত ২ নভেম্বর শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় আব্দুল করিম, তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা, মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।