অটিস্টিক সন্তানের মেধা কাজে লাগিয়ে অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেন, কাউকে পেছনে ফেলে রেখে নয়, সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাবে দেশ।
প্রতি চার জনে একজন অটিস্টিক শিশুর মা তার শিশুকে নিয়ে হতাশায় ভোগেন। সম্প্রতি আইসিডিডিআরবি’র করা এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
বাংলাদেশী প্যারেন্ট এমপাওয়ারমেন্ট ফর অটিস্টিক চিলড্রেন গোলস নিয়ে সেমিনারের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয় এদেশে অটিজম নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ও সামাজিক সহযোগিতার বিষয়ে করা আইসিডিডিআরবি’র গবেষণার ফলাফল।
প্রতি ৫ জন অটিস্টিক শিশুর মধ্যে ৪ জনই ছেলে। রাজধানীর ৩৮৮ জন অটিস্টিক সন্তানের মায়ের উপর করা গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
শুধু শহরে নয় গ্রামের অটিস্টিক শিশুর বিকাশে অভিভাবকদের আরো সচেতন ও বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা হোসেন। তিনি বলেন, যেই ব্যক্তি প্রত্যেকদিন অটিজম শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান তাদের সবচেয়ে বেশি জ্ঞান থাকতে হবে। বুদ্ধিমত্তা, প্রতিভা দিয়ে অটিজম শিশুদের চলাফেরা এবং সুন্দরভাবে বাঁচতে শেখাতে হবে। সেজন্য দরকার প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই একজন মা তার শিশুকে সুষ্ঠুভাবে লালন-পালন করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন অনেক কিছুতে এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যাবে। দেশ কাউকে ফেলে রেখে এগিয়ে যাবে না। সবাইকে নিয়েই দেশ এগিয়ে যাবে।
সেমিনারে অটিজম নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। অটিস্টিক শিশুর বিকাশ ও সচেতনতায় অভিভাবকসহ সকলকে একত্রে কাজ করার আহবান ছিল পুরো সেমিনার জুড়ে।