ক্লাস বাদ দিয়ে কাউকে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে আনা এবং কোনো নেতাকে প্রটোকল দিতে বাধ্য করা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।
বুধবার সকালে মধুর ক্যান্টিনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি নেতাকে প্রটোকল দিতে ও গেস্টরুমে না আসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের কয়েকটি কক্ষে তালা দেয়ার অভিযোগ ওঠে হল শাখা নেতাদের বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে গেস্টরুমে না আসায় হলের ২২৬ নম্বর কক্ষে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের সদ্য ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও গত ৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের অপসারিত সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে ‘প্রটোকল’ দিতে কিছু শিক্ষার্থী মধুর ক্যান্টিনে না যাওয়ায় সূর্যসেন হলের চারটি কক্ষে তালা দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আবাসন-সংকটের কারণে হলে বৈধ আসন না থাকায় দ্বিতীয় বর্ষের ৩২ জন শিক্ষার্থী ওই চারটি গণরুমে থাকতেন। পরে গোলাম রাব্বানী বিষয়টি জানার পর তারই হস্তক্ষেপে তালা খুলে দেয়া হয়।
এই দুই ঘটনায় সমালোচনার জন্ম হলে নেতাকর্মীদেরকে সনজিত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ছাত্রলীগের কর্মী হওয়ার আগে ভাল ছাত্র হতে হবে। তাই ছাত্রলীগের যে কর্মসূচিই থাকুক; কেউ যেন ক্লাস পরীক্ষা বাদ দিয়ে অংশ না নেয়। আর যদি কেউ কোনো জুনিয়রকে প্রোগ্রামে আসতে বাধ্য করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত বছরের ৩১ জুলাই ছাত্রলীগের দায়িত্বে আসার পরও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক একই কথা বলেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই সংস্কৃতির পরিবর্তন খুব একটা চোখে পড়েনি।
তা মনে করিয়ে দিলে চ্যানেল আই অনলাইন কে সনজিত বলেন: ‘আসলে সম্প্রতি দুটি ঘটনা ছাড়া কোনো অভিযোগ এরআগে আমরা পাইনি। এখন থেকে আরও সচেতন থাকব। সকল শিক্ষার্থী নির্দ্বিধায় তাদের অভিযোগ আমাকে ফোন করে বা টেক্সট করে জানাতে পারবে৷’
‘‘এছাড়াও আমার রুমের সামনে আমি একটি অভিযোগ বক্স রাখব। সকলে সেখানে তাদের অভিযোগ জানাতে পারবে।’’