টাঙ্গাইলে কলেজ ছাত্র রাজন সরকার হত্যা মামলায় ১২ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন টাঙ্গাইল বিচারিক আদালতের বিশেষ জজ ওহেদুজ্জামান সিকদার। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি এই আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, উপজেলার ভালকুরিয়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক ওরফে টুনু, তার তিন ছেলে- হানু, নূরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, টুনুর নাতি সাইদুল ইসলাম, অন্যদের মধ্যে মজিদ মিয়া, তার ছেলে মজনু, বাবু প্রামাণিক, ওয়াহাব শেখ, সিরাজ প্রামাণিক, নিজাম প্রামাণিক ও তার ছেলে মুমিন।
এদের মধ্যে ৮ জন টাঙ্গাইল জেল হাজতে রয়েছে। বাকি চার জন- বিশু প্রমানিকের ছেলে মজিদ, আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আব্দুল মজিদ, মজনু ও নূরুল ইসলাম এখনো পলাতক রয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের ভালকুটিয়া গ্রামে ২ শতাংশ জমির জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন রাজন সরকারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর অবস্থায় ঢাকা নেয়ার পথে রাজনের মৃত্য হয়।
রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন ভূঞাপুর থানার তৎকালীন ওসি(তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু ওবায়েদ। বর্তমানে নাটোরের লালপুর থানার ওসির দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা বলেন, শরীরে বেশকিছু আঘাত ও মাথায় শাবলের আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণে রাজনের মৃত্যু হয়।
নিহত রাজন ভালকুটিয়া গ্রামের লাল মিয়া সরকারের ছেলে ও ধনবাড়ি ডিগ্রী কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই লাল মিয়া সরকার সাইদুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ১২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জসিট দাখিল করে।