২৩৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ইমরুল একাই করে দিয়ে যান ৭৪। জয় যখন হাতছানি দেয়ার অবস্থায় ঠিক তখন মড়ক। নাটকীয় কয়েক মিনিটে আর ৫৯ রান তুলতে শেষ আট উইকেট! পরিণামে ৫৫ রানের হার!
কলাবাগানের এমন হারের দিন প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই চমক দেখান দলটির পাকিস্তানি ক্রিকেটার আকবর-উর-রেহমান। ব্যাট হাতে ৮০ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে চার উইকেট নেন।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ২৩৩ রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করে গাজী। ২৫.৩ ওভারে দলটি শতরান পেরিয়ে যায় মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে। ইমরুলের বিদায়ের পরই মূলত খেলার মোড় ঘুরে যায়। ১৯ রান তুলতে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৯ বল আগেই ১৭৭ রানে অলআউট হয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান তোলে কলাবাগান। ২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলটিকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন আকবর। চতুর্থ উইকেটে তাইবুর রহমানের সঙ্গে গড়েন ১০১ রানে জুটি। ৫০ রান করে মুমিনুল হকের বলে তাইবুর আউট হলে ভাঙে জুটিটি। দলকে আরও দূরে টেনে ১১১ বলে ৮০ রান করে রজত ভাটিয়ার বলে বোল্ড হন।
মাহমুদুল হাসানের ২৯, অধিনায়ক মুক্তার আলীর ১৯ ও আবুল হাসান রাজুর অপরাজিত ১৯ রানে ভর করে দুইশ পেরোয় কলাবাগান।
গাজীর পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি, ডলার মাহমুদ ও রজত ভাটিয়া নেন দুটি করে উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন মুমিনুল হক।
বিকেএসপিতে অপর ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে সহজে জিতেছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব।
ব্রাদার্সের দেয়া ২১৫ রানের লক্ষ্য ১২ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জেতে তারা। ফজলে মাহমুদ ৭৩, লিটন দাস ৪৩, মার্শাল আইয়ুব ৪৩ ও ইমতিয়াজ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। রায়ান টেন ডেসকাট ৫ ও ফরহাদ হোসেন ২ রানে অপরাজিত থাকেন।
গাজীর লেগস্পিনার অলক কাপালী ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। অপর উইকেটটি নেন নিহাদুজ্জামান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মিজানুল রহমানের ৭১, ইয়াসির আলীর ৪৪, মায়শুকুর রহমানের ২৮ রানে ভর করে ৪৬.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২১৪ রান তোলে ব্রাদার্স।
রায়ান টেন ডেসকাট ও ফজলে মাহমুদ নেন তিনটি করে উইকেট। ফরহাদ রেজা দুটি, আরাফাত সানি ও শরিফউল্লাহ নেন একটি করে।