২৬৪ রানের জয়ের টার্গেটে ১৯০তেই থামল কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের ইনিংস। তাতে ৭৩ রানের জয় পেল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শেখ জামালের এটি পঞ্চম জয়। ১০ খেলায় অবশ্য সমানসংখ্যক ম্যাচে হেরেছে তারা। আর ১০ ম্যাচে কলাবাগানের এটি অষ্টম হার।
ফতুল্লায় টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে এক বল বাকি থাকতে ২৬৩ রানে অলআউট হয় শেখ জামাল। দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারালেও ইনিংসের ভিত গড়ে দেন পিনাক ঘোষ ও রাকিন আহমেদ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে তোলেন ১২১ রান। এক রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি পাননি ঘোষ (৪৯)। তবে দলীয় সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন রাকিন।
এই দুজনে ফেরার পর দলীয় ইনিংসটা একা হাতে টেনেছেন তানভীর হায়দার। শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্য সোহাগ গাজী (২৩) ছাড়া কেউই দাঁড়াতে পারেননি। দলীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন তানভীর। এক বল বাকি থাকতে শেখ জামাল অলআউট হয় ২৬৩ রানে।
কলাবাগানের হয়ে ৩ উইকেট নিয়ে সফল বোলার আবুল হাসান।
শেখ জামাল ইনিংসের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই তাসের ঘরে পরিণত হয় কলাবাগানের ব্যাটিং লাইনআপ। স্কোর বোর্ডে ৫০ রান উঠার আগেই তাদের প্রথমসারির পাঁচ ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন। ব্যর্থ হয়েছেন মোহাম্মাদ আশরাফুলসহ টপঅর্ডারের সবাই।
ইনিংসের মাঝপথে তাইবুর রহমান ও মুক্তার আলির হাফসেঞ্চুরিতে যা একটু লড়াই করে কলাবাগান। দুজনেই করেন সমান ৫১ রান করে। বলের পর ব্যাট হাতেও রান পান আবুল হাসান। দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে শুরুর ধাক্কা সামলেও আর ম্যাচে ফেরা হয়নি তাদের।
শেখ জামালের সফল বোলার ইলিয়াস সানি। ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। দুই উইকেট নেন কাজী কামরুল ইসলাম।