৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় গতকাল থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ দিবস উদযাপনের সমাপ্তি ঘটেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে অগ্রসরমান বাংলাদেশকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে এই উদযাপন সমাপ্ত হয়।
এসময় বইমেলা প্রাঙ্গণে এস বি আই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আগ্রহ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের লেখক-পাঠক-প্রকাশকসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
বাংলাদেশ দিবস উদযাপনের শেষ দিনে শুক্রবার দুপুর ২টায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। “সোনার বাংলার স্বপ্নযাত্রা: শেখ মুজিব থেকে শেখ হাসিনা” শীর্ষক সেমিনারে মূল আলোচক ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান । আরও আলোচনা করেন বাংলাদেশের কলাম লেখক ও গবেষক সুভাষ সিংহ রায়, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাবিদ, কবি ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক পবিত্র সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের লেখক, ভাষা ও সমাজকর্মী ড. ইমানুল হক। এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
এরপর বিকেল ৫:০০টায় শুরু হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের প্রকাশনা ‘বাংলাদেশ: সংগ্রাম, সিদ্ধি, মুক্তি’ শীর্ষক সংকলন গ্রন্থের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান। গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে গ্রন্থটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয় ঢাকায়। কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এই গ্রন্থসহ মোড়ক উন্মোচন করা হয় “কামাল চৌধুরীর শ্রেষ্ঠ কবিতা”, শমরিতা উর্নি গাঙ্গুলী অনূদিত কবি কামাল চৌধুরীর “টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে ” কাব্যগ্রন্থের অনুবাদ “From Tungipara” এবং কামাল চৌধুরীর স্মৃতিগদ্য “শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন”।
অধ্যাপক পবিত্র সরকারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও কবি কামাল চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউর রহমান এবং সংসদ সদস্য আরোমা দত্ত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত ভট্টাচার্য।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর। সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল মুজিববর্ষের থিম সং-এর সাথে পশ্চিমবঙ্গের নৃত্যশিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও বাংলাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শামা রহমানের গান।