বড় শিরোপা জিতলেই খেলোয়াড়, কোচদের পকেট ভারী করে দেয়ার ঐতিহ্য মেনে চলে প্রায় সব ক্লাবই। বেতনের পাশাপাশি লোভনীয় সব আর্থিক বোনাস যুক্ত হয় অ্যাকাউন্টে। শুধু খেলোয়াড়-কোচই নন, শিরোপার পেছনে যাদের পরোক্ষ অবদান, সেই কর্মীদেরও শুকনো মুখে রাখা হয় না। বোনাস দেয়া হয় তাদেরও। সেই রীতি থেকে সম্ভবত সরে আসছে বার্সেলোনা। মেসিরা লিগ কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও বাড়তি কোনো আর্থিক প্রণোদনা নাও পেতে পারেন স্প্যানিশ ক্লাবটির কর্মীরা।
গত একদশকে মোটামুটি প্রায় মৌসুমেই কোনো না কোনো শিরোপা জিতেছে বার্সা। ক্লাব শিরোপা জেতায় খুব বড় না হলেও মোটামুটি মানের একটা বোনাস অন্তত দেয়া হতো দলের সঙ্গে কাজ করা কর্মীদের। ২০১৭-১৮ লা লিগা জয়ী বার্সার সঙ্গে যে কর্মীরা জড়িত ছিলেন, তাদের বোনাস দেয়া হয়েছিল ২৫ হাজার ইউরো।
বোনাস না বলে একে অবশ্য পুরস্কার বলাই ভালো। কর্মীদের পরিশ্রমের পুরস্কার। খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমকে শান্তিপূর্ণ রাখতে তারা যা করেন, মূলত তারই স্বীকৃতি। মূল দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি ক্লাবের বাকি কর্মীদেরও দেয়া হয় বোনাস।
সেই বোনাসটা বোধহয় এবার পাওয়া হচ্ছে না বার্সা কর্মীদের। গতবারও লা লিগা জিতেছেন মেসিরা। নিজেদের খেলাটা ঠিকঠাক খেললে এবারও জেতার সুযোগ আছে। অন্যবার যেখানে সেপ্টেম্বর পার হলেই বোনাস পেয়ে যান কর্মীরা, সেখানে ফেব্রুয়ারি পার হয়ে যাওয়ার পরও ক্লাবটি নিশ্চুপ।
বোনাস দিতেই হবে তেমন বিষয়ে অবশ্য বাধ্য নয় বার্সা। তবে কর্মীদের মধ্য থেকে প্রশ্ন উঠেছে যেখানে ২ লাখ ইউরো খরচ করে আইথ্রি ভেঞ্চার নামে এক প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া করে বদনাম কুড়িয়েছে ক্লাব, সেখানে সৎভাবে আয় করা কর্মীদের বোনাস দিতে কেনো আটকাচ্ছে কর্তাদের। প্রশ্নটা যৌক্তিক। এজন্যই বোনাস না দেয়া নতুন কোনো বিতর্কেরও জন্ম দিতে পারে।