দেশে করোনা সংক্রমণে ঝুঁকিমুক্ত বাহন হিসেবে মোটরসাইকেলকে সবার আগে এগিয়ে রাখছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনগণ। একটি বেসরকারি জনমত জরিপের ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।
‘কোভিড-১৯ পরবর্তী বাংলাদেশে যানবাহন ব্যবহারে পরিবর্তনের সম্ভাবনা’ শীর্ষক জরিপটি পরিচালনা করেন কানাডার অন্টারিওর ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইডি গবেষক শায়লা জামাল। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩০০ স্যাম্পল সাইজের এ জরিপে অংশ নেয়া বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কাঠামোর প্রাতিষ্ঠানিক কর্মজীবী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ অংশগ্রহণকারীরা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকিমুক্ত পরিবহন হিসেবে মোটরসাইকেলকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন।
এছাড়া জরিপে আরও উঠে এসেছে, করোনাকালে বাংলাদেশের লোকজন, বিশেষত ছাত্রদের মাঝে একা বা ব্যক্তিগতভাবে চলাচলের জন্য মোটরসাইকেল, সাইকেল এবং পায়ে হাঁটার প্রবণতা বেড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের পরিবহন ব্যবহারে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকির বিষয়টিও তুলনামূলকভাবে বেশি বিবেচিত হচ্ছে।
জরিপের ফলাফলে আরও দেখা গেছে, ৭৯% মানুষের মতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মোটরসাইকেলই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত বাহন। মোটরসাইকেলে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব। ৭৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ মনে করেন, ঢাকায় গণপরিবহনে সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয়, তেমনি ফুটপাতেও ঝুঁকিমুক্তভাবে হেঁটে চলাচল অসম্ভব। সার্বিকভাবে নিরাপদ এবং সংক্রমণ ঝুঁকিমুক্ত পরিবহন হিসেবে মোটরসাইকেল/স্কুটি/স্কুটারই সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মতামত পাওয়া গেছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ৩৩ শতাংশ মানুষ আগামী এক বছরের মধ্যে মোটরসাইকেল কেনার ইচ্ছাও পোষণ করেন।
গুগল কোভিড-১৯ কমিউনিটি মোবিলিটি রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণকালে বিশ্বব্যাপী বাস ট্রেনসহ গণপরিবহনে চলাচল ৩৬% কমে যায়। লকডাউন পরবর্তী সময়ে গণপরিবহন থেকে ব্যক্তিগত পরিবহন যেমন, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ব্যবহারের দিকে বেশিমাত্রায় ঝুঁকতে থাকে মানুষজন।