করোনাভাইরাসে সংক্রমণ যেন থামছেই না। এখনও পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪৮ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৫ জন। অন্যদিকে নতুন শনাক্ত হওয়া ৪ জনের মধ্যে দু’জন চিকিৎসক বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।
করোনার ছোবল থেকে কেউ যে মুক্ত নয় তা আবারও প্রমাণ হয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রীও এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার তারা নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্টে দেওয়া টুইটে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। করোনায় আক্রান্ত হলেও এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বরিস জনসন।
এ যুদ্ধ আসলে কোনো দেশের একার নয়। পুরো বিশ্বকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সম্মিলিত যুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে বলে আমরা মনে করি। এর কোনো বিকল্প নেই।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশও ইতোমধ্যে যুদ্ধে অবতীর্ণ। ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর বলতে গেলে পাল্টে গেছে দেশের চিরাচরিত কোলাহল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একে যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করে বিজয়ী হতে সবাইকে যার যার ঘরে অবস্থান করার অনুরোধ করেছেন। এরপর থেকে সাধারণ মানুষের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমরা লক্ষ্য করেছি। আর জনগণের সহযোগিতা ছাড়া করোনার বিরুদ্ধে সফল হওয়ার সুযোগও নেই।
এরপরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা গেছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ জনগণের মধ্যেও এমনটা দেখা গেছে। তবে সেই সমন্বয়হীনতা দ্রুত কাটিয়ে ওঠার চেষ্টাও আমরা দেখেছি। এ চেষ্টা আমাদের জয়ের বিষয়ে আশাবাদী করে তোলে। এজন্য যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ কৌশলের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।