করোনা ভাইরাস কতোটা দ্রুত ছড়িয়ে বিপুল ক্ষতি করতে পারে চীন ও ইটালির ঘটনায় তা দৃশ্যমান। বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে সচেতনতা অবলম্বন পদ্ধতিও বলতে গেলে হার মানছে করোনা ভাইরাসের কাছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬শ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজারের বেশি। বাংলাদেশে প্রথম তিন জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। তবে তাদের মধ্যে দু’জন এখন সুস্থ। এটা বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই সুখবর।
তবে এমন সুখবরে আত্মতৃপ্তিতে ভোগার কোনো সুযোগ নেই। এটাই বাস্তবতা। কারণ, ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্ব এখনও করোনা ভাইরাসে নাকাল। তারা প্রতিনিয়ত সর্বাত্মক যুদ্ধ করে যাচ্ছে এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের খবরে প্রথম দিকে অনেক সচেতনতা লক্ষ্য করা গেলেও সুস্থতার খবরে তার কিছুটা ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
এমনকি এ বিষয়ে আইইডিসিআর’র পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে সতর্কতা জারি করতে হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন: ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা তারা সরকারের সহানুভূতিশীল পরামর্শ অমান্য করলে সংক্রামক রোগ আইন প্রয়োগ করা হবে।’ আমরা চাই না মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানো করোনা ভাইরাসের এ সময়ে এমন কোনো আইন প্রয়োগ হোক। সবাই মিলে একসঙ্গে করোনা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা।
করোনা ভাইরাস কোনো পক্ষেরই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ ও কথা কাম্য নয়। বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইইডিসিআর’র নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। এজন্য আতঙ্ক ছড়ানো যেমন উচিৎ নয়, তেমনই দেশে করোনা তেমন কোনো ক্ষতি করতে বা দ্রুত ছড়াতে পারবে না এমন তথ্যও অগ্রহণযোগ্য। এমন দেশে করোনা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে আমরা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।